জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন নেয়া সংক্রান্তে রাজধানী থেকে গ্রেফতার ২

শাহরিয়ার রাজ : সুপ্রীম কোর্টসহ বিভিন্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া জামিননামা তৈরি করে জেলখানায় পাঠিয়ে বিভিন্ন দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনের ব্যবস্থা করতো একটি চক্র। এছাড়া, বিভিন্ন মামলার এজাহার, জব্দ তালিকা ও অভিযোগপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তন করে তা আদালতে উপস্থাপন করে আসামীর জামিনের ব্যবস্থা করতেন তারা। শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর বংশাল থানার চাঁনখারপুল এলাকা থেকে ওই জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটককৃতরা হলেন- এ্যাডভোকেট মো. আ. সামাদ ও মুহুরি মো. বনি আমিন। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন আদালত ও ডেপুটি জেলারগনের সিলসহ মোট ৮১টি সিল এবং জালিয়াতির মাধ্যমে জামিনে মুক্ত করে আনা ১৩টি মামলার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। রোববার (১৬ এপ্রিল) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। আটকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, বিশেষ করে মাদক মামলার আসামীদের জামিনের ব্যবস্থা করতো চক্রটি। তিনি জানান, গত ১৯ জুলাই বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ফজলুল করিম নামের একজনকে আসামী করে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে চক্রটি ওই আসামীর জামিনের জন্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে জব্দ তালিকায় ১৮০ পিস ইয়াবা দেখিয়ে দাখিল করে। পরে ওই আসামী গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান। এছাড়া, গত আগস্টে মুগদা থানায় মো. হাসান নামে একজনকে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামীর কাছে ১৮০ পিস ইয়াবা জব্দ দেখিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত করে চক্রটি। আব্দুল বাতেন বলেন, কারো সাথে শত্রুতার জেরে কারো বিরুদ্ধে ভুল ওয়ারেন্ট ইস্যু করে থানায় পাঠানোর ঘটনাও ঘটিয়েছে চক্রটি। তারা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে আদালতকে অবমাননার মতো গর্হিত কাজ করেছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে। পরে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আর কত মামলার জামিন করিয়েছে বা এই চক্রের সাথে আরো কারা জড়িত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

Check Also

রাজধানীতে কৃষকদল নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ কৃষকদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশকে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ তুলে …