কর্মক্ষমতা বাড়ায় লেবু চা

লিকার চা না দুধ চা ভালো- এ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। তবে লেবু চা নিয়ে কোন বিতর্ক নয়। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে শরীরের প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে লেবু চা দারুন কার্যকরী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবুতে উপস্থিত একাধিক কার্যকরী উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ধীরে ধীরে দেহের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকিও কমে।

১. চা এবং লেবু -দুটিতেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত লেবু চা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

২. লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক অ্যাসিড হজমে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে কিডনি স্টোনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।

৩. শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করতে লেবু চা দারুন কাজ করে।

৪. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত লেবু চা খাওয়া শুরু করলে শরীরে আয়রনের শোষণ মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন মাত্রাও বেড়ে যায়। এতে রক্তশূণ্যতার ঝুঁকি কমে।

৫. লেবুতে উপস্থিত ফ্লেবোনয়েড রক্তে লিপিডের পরিমাণ কমায়, সেই সঙ্গে আর্টারিতে যাতে কোনও ভাবেই রক্ত জমাট না বাঁধে সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে হৃদরোগ সম্পর্কিত জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই হ্রাস পায়।

৬. লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লেবু চা খেলে ব্রণের ঝুঁকি কমে যায়। সেই সঙ্গে বলিরেখা মুছে গিয়ে ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে।

৭. লেবুতে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান থাকায় এটি শরীরের নানাবিধ সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৮. জার্নাল অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্টি এক গবেষণায় জানা গেছে, লেবুর রস শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ইনসুলিনের কার্যকারিতা বেড়ে যায়। ফলে শর্করা ভেঙে শক্তির ঘাটতি পূরণ হয়। সেই সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

এছাড়া নিয়মিত লেবু চা পান করলে ঠান্ডা-সর্দি এবং ঘন ঘন ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …