২১ বছর আগের মালদ্বীপে ফিরে গেলেন আলফাজ-মিন্টুরা

বাংলাদেশের ক্লাব দল মালদ্বীপে হরহামেশা আসলেও জাতীয় দলের সফর হয়েছে কদাচিৎ। এই সাফের আগে সর্বশেষ জাতীয় দল এসেছিল ২০১৬ সালে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে। মালদ্বীপে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরও ২১ বছর আগে।

২০০০ সালে মালদ্বীপ চার জাতির আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল। ওই টুর্নামেন্টে ভারত, শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশও। ২১ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল মালদ্বীপে বহুজাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে।

মালে অনুষ্ঠিতব্য সাফ টুর্নামেন্ট জাতীয় দলের অধিনায়ক আলফাজ আহমেদকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ২১ বছর আগে, ‘আমার ক্যারিয়ারে একবারেই মালদ্বীপ গিয়েছিলাম, সেটা ২০০০ সালে। আমি টপ ফর্মে ছিলাম তখন। যদিও অধিনায়ক থাকলেও সেই টুর্নামেন্ট খেলতে পারিনি।’ ঢাকা থেকে আজ সকালে বলছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক।

আজকের ম্যাচে জ্বরের জন্য খেলতে পারছেন না সোহেল রানা। ২১ বছর আগে আলফাজও একই কারণে পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। ওই ঘটনা তিনি বর্ণনা করলেন এভাবে, ‘আমার ক্যারিয়ারে জাতীয় দলে থাকার পরেও এক ম্যাচ খেলতে পারিনি এমন ঘটনা এক টুর্নামেন্টেই ঘটেছে, সেটা মালদ্বীপেই। আমরা অনেক কষ্ট করে মালে পৌঁছাই। প্রথমে ভারত, এরপর কলম্বো। সেখান থেকে মালে। ভ্রমণ ক্লান্তিতে কলম্বোতে ঘুমিয়ে পড়ি। অস্বস্তিকর পরিবেশ ছিল। মালে আসতে আসতে আরও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। দুর্বল শরীরে জ্বর এসেছিল। সেই জ্বর থেকে সেরে উঠতে উঠতে টুর্নামেন্ট শেষ।’ আলফাজের সেই জ্বরের পেছনে ভ্রমণ ক্লান্তি থাকলেও জামাল-সোহেলরা ঢাকা থেকে সরাসরি মালের ফ্লাইটে এসেছেন।

আলফাজের অসুস্থতার জন্য চার জাতির টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করেন ইকবাল হোসেন। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ মালেতে তিনটি ম্যাচ খেলে। ভারত ও স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে। দুইটি গোলই করেন জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু।

দুই দশক পেরিয়ে গেলেও মালদ্বীপের ওই টুর্নামেন্টের স্মৃতি বেশ তরতাজা তার কাছে, ‘আমি পরপর দুই ম্যাচে গোল করেছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য স্মরণীয় সফর হলেও দলের ফলাফলের দৃষ্টিকোণ থেকে খুব ভালো সফর হয়নি।’ বাংলাদেশ তিন ম্যাচের মধ্যে দুইটিতে ড্র ও একটিতে হেরেছে।

ওই সফরে মিন্টুর পারফরম্যান্সে প্রশংসা করলেন তার সতীর্থ ফিরোজ মাহমুদ টিটু, ‘ওই দলের কোচ ছিলেন হ্যারিসন (ব্রিটিশ কোচ)। তিনি মাত্র ১৫ দিন সময় পেয়েছিলেন এই টুর্নামেন্টের জন্য। ওই সময় তিনি সেটপিস নিয়ে বেশি কাজ করেছেন। আমরা যে দুটি গোল পেয়েছিলাম। এ দুটিই মিন্টু ভাই সেটপিস থেকে করেছিলেন।’

ওই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ব্যর্থতার কারণ হিসেবে টিটু মনে করেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের কোয়ালিটি ভালো থাকলেও ফিটনেসে ঘাটতি ছিল। যেজন্য ৬৫-৭০ মিনিটের পর পারফরম্যান্স নিম্নগামী হতো।’

আবার ২১ বছর পর বাংলাদেশ ফুটবল দল মালেতে টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছে। সেই টুর্নামেন্ট আমন্ত্রণমূলক হলেও এবার দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। জামাল-সোহেলদের শুভকামনা জানিয়েছেন দুই দশক আগে মালেতে খেলে যাওয়া পূর্বসূরিরা।

Check Also

বাংলাদেশের ম্যাচসহ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের পূর্ণাঙ্গ সূচি

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জটিল ধরণের এক ফরম্যাট উপহার দিলো …