মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর প্রকৃতিতে ভিন্ন আমেজ

করোনা অতিমারিতে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর প্রকৃতিতে এসেছে ভিন্ন আমেজ। কোলাহলমুক্ত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাধীন ছন্দে।  পাখি আর ঝি ঝি পোকার ডাকে মুখর দুর্লভ উদ্ভিদ আর প্রাণ-বৈচিত্র্যে ভরা এই বন। এ যেন প্রকৃতির গান।

মানুষের পদচারণা না থাকায় লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান সেজেছে আপন রূপে। বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ। তাই সেখানে এখন বন্য পশুর অবাধ বিচরণ।

পাখি আর ঝিঁ ঝিঁ পোকাদের গানে এখন মুখর এই বন। মানুষের ভয়ে দূরে থাকা বন্যপ্রানীরা অপন ভুবন ফিরে পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সর্বত্র। প্রকৃতির এই পরিবর্তিত রুপ দেখে অভিভূত স্থানীয়রা।

বাপা মৌলভীবাজারের সমন্বয়ক আ.স.ম সালে সোহেল জানান, প্রকৃতির উপর মানুষের অত্যাচারে হুমকিতে জীববৈচিত্র্য। তাই আইন করে প্রতিবছর কিছুদিনের জন্য প্রাকৃতিক পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখা উচিত। তাহলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা পাবে বলে জানান তারা।

পরিবেশ কর্মীদের দাবিকে সমর্থন করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক মীর্জা মেহেদী সারওয়ার জানালেন, বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ প্রজননের জন্যও প্রতিবছর কিছুদিন পর্যটক প্রবেশ বন্ধ রাখা উচিত।

এক হাজার ২৫০ হেক্টর ভুমি নিয়ে গড়ে ওঠা লাউয়াছড়া বনকে সরকার ১৯৯৬ সালে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে। ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ২২ প্রজাতির উভচর ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৫৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখিসহ অসংখ্য কীটপতঙ্গের দেখা মেলে চিরহরিৎ এই বনে।

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …