তিন মাস পর ব্যাংকক বিমানবন্দর ছাড়ল জিম্বাবুয়ের সেই পরিবার

অনলাইন ডেস্ক :যে কোনো দেশের বিমানবন্দরে অবতরণের পর ইমিগ্রেশন বিভাগ পার হতে পারলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ে যাত্রীর। কিন্তু জিম্বাবুয়ের একটি পরিবার প্রায় তিন মাস ধরে পড়ে ছিল ব্যাংককের সুভারনাভূমি বিমানবন্দরে। পরিবারটি জিম্বাবুয়েতে ফিরলে বড় সমস্যায় পড়বে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু থাইল্যান্ডে তাদের গ্রহণ করার কোনো উপায় ছিল না। ফলে বিমানবন্দরেই আটকে থাকতে হয়েছিল প্রায় তিন মাস।

থাই ইমিগ্রেশন ব্যুরো জানিয়েছে, এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১১ বছরের নিচে চার শিশু এবং বাকি চারজন প্রাপ্ত বয়স্ক। জিম্বাবুয়েতে তারা বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন এই ভয়ে তারা সেখানে ফিরতে চাচ্ছেন না।

এরপর থাইল্যান্ড চাইছিল তাদের কোনো ইউরোপীয় দেশে পাঠিয়ে দিতে, যেখানে তারা সহজেই রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারবে। কিন্তু সে সুযোগ মিলছিল না। এ কারণে তাদের তিন মাস বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করতে হয়।

ইতোমধ্যে সে পরিবারটি জাতিসংঘের সাথে যোগাযোগ করে। জাতিসংঘের শরণার্থী ক্যাম্প রয়েছে ফিলিপাইনে। এ কারণে তাদের শেষ পর্যন্ত ফিলিপাইনেই পাঠানো হয়। তবে পরিবারটি সেখানে থাকবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে পরিবারটি। পরিবারটি পর্যটক হিসেবে থাইল্যান্ডে এসেছিল। গত অক্টোবরে তারা ব্যাকংক থেকে ইউক্রেনের কিয়েভ হয়ে স্পেনের বার্সেলোনায় যেতে চেয়েছিল। তবে স্পেনের ভিসা না থাকায় তাদের বোর্ডিং দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়।

থাই বিমানবন্দরে প্রবেশের পর তারা থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশন পুনরায় পার হতে ব্যর্থ হয়। কারণ ততদিনে তাদের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত দিন অবস্থানের কারণে তাদের কাঁধে জরিমানার বোঝাও ঝুলতে শুরু করেছে। পরবর্তীতে তারা ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করে কিয়েভ হয়ে দুবাই যাওয়ার জন্য। তবে শেষ মুহূর্তে তারা টিকেট বাতিল করে।

ওই পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা জিম্বাবুয়েতে ফিরে যেতে রাজি না। কারণ নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট মুগাবের ক্ষমতাচ্যুতির পর তারা সেখানে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করছে। এরপর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কাছে আশ্রয় আবেদন করে পরিবারটি।

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …