নিজস্ব প্রতিবেদক: বিক্রির পরিমাণ হিসেবে দেশে প্রতিদিনের কাগজের বাজার প্রায় চার হাজার মেট্রিক টনের। টাকার অংকে যার পরিমাণ প্রায় আটাশ কোটি টাকা । দেশে তৈরি কাগজ বা কাগজজাত পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানীও হচ্ছে। রপ্তানীর পরিমাণ প্রতি বছর প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে। প্রথম ২০১০ সালে রপ্তানী শুরু হলেও এর পরিমাণ প্রতি বছরই বাড়ছে।
দেশের বিরানব্বইটি পেপার মিলের অধিকাংশই ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। এছাড়া চট্রগ্রামে আছে কিছু। কাগজের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার পুরানো ঢাকার নয়াবাজারে। ছোট-বড় ছয়শ দোকান এখানে, প্রতিদিন বিক্রি হয় তিন থেকে চার হাজার মেট্রিক টন কাগজ। দেশে তৈরি এবং আমদানিকৃত কাগজের একটা বিরাট অংশ মূলত এখান থেকেই কয়েক হাত ঘুরে দেশ জুড়ে খুচরা বাজারে যায়। আছে কিছু প্রতিবন্ধকতা।
যে কাগজের চাহিদা মেটাতে একসময় পুরো আমদানি নির্ভরতা ছিল সেই কাগজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারত, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হচ্ছে। চায়নাসহ বড় কিছু বাজার ধরারও চেষ্টা চলছে, যা কাগজের বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা। আর কাগজজাত বিভিন্ন পণ্য যেমন টিস্যু,ফুড গ্রেড কাপ, গিফট কার্ড দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় পনেরটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। জানালেন, কেপিসি ইণ্ডাস্ট্রি লিমিটেডের উদ্যোক্তা কাজী সাজিদুর ও বসুন্ধরা গ্র“পের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
ভিন্ন চিত্রও আছে, দেশে পলিথিন জাতীয় পণ্যের ব্যবহার হুমকীর মুখে ফেলেছে কাগজের ব্যাগের অস্তিত্বকে।
ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট কার্ড, আর্ট পেপারসহ কিছু উন্নতমানের কাগজের চাহিদা থাকলেও দেশীয় মিলগুলো বিদেশের কাগজের চেয়ে দাম ও মানে পিছিয়ে। দেশের নয়, পত্রিকাগুলো এখন কোরিয়া, চীনসহ বাইরের কাগজ ব্যবহার করে। জানালেন, পেপার এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিউল ইসলাম ভরসা ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।দেশের বাইরে থেকে কাঁচামাল আমদানি নির্ভরতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা কাগজ শিল্পের বাণিজ্য সম্প্র্রসারণে অন্তরায় বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা। জানালেন, মিডিয়াকম লিমিটেডের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর আনিসুজ্জামান সোহেল ও প্রকাশক খান মাহবুব।