বাংলাদেশের ২ টাকা সবচেয়ে সুন্দর নোট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে জাল টাকার সাথে লড়াই করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য একটি কঠিন সংগ্রাম। দেশের কাগজের ২ টাকা রাশিয়ার একটি বেসরকারী সংস্থা অনলাইন এন্টারটেইমেন্ট আউটলেট পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নোট বলে স্বীকৃতি দেয় ২০১২ সালে। এই ২ টাকা প্রতিবেশী দেশে পাচারও হয় বেশী। ধাতব মুদ্রা পাচার ঠেকাতেও নিতে হয় কৌশল।

রাজনৈতি, অর্থনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে অসাধুরা দেশে জাল টাকার সবচে বেশি বিপদ এনেছিল ১৯৭৪ সালে। তা প্রতিরোধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সরকার সে সময় আকষ্মিকভাবে বিভিন্ন মানের কয়েকটি নোট বাজার থেকে তুলে নেয়।

বর্তমানে কাগজের টাকা পাচারের নজির তেমন নেই। শুধু বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নোট হিসেবে স্বীকৃত দেশের ২ টাকার নোট প্রতিবেশী ভারতে পাচার হয়, সেখানে বিক্রি হয় ৫ টাকায়। মাদক সেবনে এর কদর ব্যাপক।

এক সময় ৫, ১০,৫০ পয়সায় রুপার ব্যবহার ছিল, সেগুলো তৈরি ছিল ব্যয়বহুল, হতো পাচার। পাচারকারীরা সেসব ধাতব মুদ্রা গলিয়ে রূপা বের করে নিত। পাচার ঠেকাতে সেসব তুলে নেয়া হয়েছে। বর্তমানের ধাতব মুদ্রাগুলো স্টেনলেস স্টিলের।

টাকশালের ভেতরে টাকা ছাপার ছবি নেয়া নিষেধ। তবে জানা যায় কাগুজে মুদ্রা ছাপতে ৩৫টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়, নানা ভুল ভ্রান্তিতে প্রস্তুতের সময় ৫ শতাংশ নোট নষ্ট হবে বলে ধরে নেয়া হয়।

গ্রাহকদের ছেড়া-ফাটা, পুড়ে যাওয়া টাকার বদল হয়, তার হিসেব থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। কিন্তু পানিতে টাকা ডুবে গেলে, বা আগুনে পুড়লে বা অন্য কোন ভাবে চিরতরে হারালে তার কোন হিসাব থাকে না। টাকা তৈরীতে গত কয়েক দশকে ব্যয় অনেক বেড়েছে মূলত নিরাপত্তা জোরদার করতে গিয়ে।

জাল টাকা প্রতিরোধে টাকায় নানা উপাদান সংযোজন ও বিয়োজন করতে হয়। তবে জাল টাকা চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চালানো নানা প্রচারণা নিয়ে আছে বিতর্ক।

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …