ইতিহাসে এই দিনে Archives – sangbadbd.com https://sangbadbd.com/archives/category/day-in-history সংবাদ বাংলাদেশ Mon, 20 Feb 2023 08:07:13 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.1.5 81388850 পৃথিবীর কোনো দেশে সংস্কৃতির ওপর এতো আঘাত আসেনি https://sangbadbd.com/archives/71264 Mon, 20 Feb 2023 08:07:13 +0000 https://sangbadbd.com/?p=71264 সংবাদবিডি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানিরা বারবার বাংলার ওপর আঘাত হেনেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এতোবার সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসেনি।  আজ (সোমবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত একুশে পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামে একটি দেশের সৃষ্টি হয়, যারা পূর্ব পাকিস্তান তথা …

The post পৃথিবীর কোনো দেশে সংস্কৃতির ওপর এতো আঘাত আসেনি appeared first on sangbadbd.com.

]]>
সংবাদবিডি ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানিরা বারবার বাংলার ওপর আঘাত হেনেছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এতোবার সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসেনি। 

আজ (সোমবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত একুশে পদক ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামে একটি দেশের সৃষ্টি হয়, যারা পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। একসময় তারা আমাদের সংস্কৃতিতে আঘাত হানে। আমাদের ওপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেয়। করাচিতে এক আলোচনায় তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে প্রবল আন্দোলন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পর ১৯৫৩ সালে প্রথম ভাষা শহীদ দিবস পালন করা হয়। আরমানিটোলায় এক সভায় এ দিবস পালনের দাবি তোলা হয়। এরপর ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। এরপরেও পাকিস্তানিরা থেমে থাকেনি। তারা তখন উর্দু হরফে বাংলা লেখার নিয়ম করে, আরবি হরফে বাংলা লেখার নিয়ম করে। রবীন্দ্রনাথের গান নিষিদ্ধ করে। যার প্রতিবাদে ছাত্রসহ সবাই রাজপথে নেমে আসে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই আমরা ভাষা আন্দোলনে, মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছি। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের এ আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় আমাদের দেশে জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এমনকি শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। সেসময় অনেকে বলেছেন, শেখ মুজিব তো আন্দোলন করেননি, জেলে ছিলেন। কিন্তু তিনি তো ভাষা আন্দোলনের জন্যই কারাবরণ করেছেন।

সরকারপ্রধান বলে ,মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই তিনি সবার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যার ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় আসি। এক দফার পর পরবর্তীতে তিন দফায় ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৪২ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ে তোলা। আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যারা একুশে পদক পেয়েছেন সবাইকে আমার অভিনন্দন। এমন আরও অনেকেই আছেন, যাদের নাম আমরা জানি না। তাদের অবদানকে আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি। আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে যায়।

এর আগে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক-২০২৩’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

The post পৃথিবীর কোনো দেশে সংস্কৃতির ওপর এতো আঘাত আসেনি appeared first on sangbadbd.com.

]]>
71264
হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ https://sangbadbd.com/archives/68906 Tue, 19 Jul 2022 05:14:44 +0000 https://sangbadbd.com/?p=68906 সংবাদবিডি ডেস্ক : জনপ্রিয় কথাশিল্পী, নাট্যনির্মাতা ও চলচ্চিত্রকার হ‌ুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (১৯ জুলাই)। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বাংলা সাহিত্যের বিপুল জনপ্রিয় এই সাহিত্যিকের।  নন্দিত এ কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশপল্লী ও লেখকের নিজ জেলা নেত্রকোণায় বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে মারণব্যাধি ক্যান্সার ধরা …

The post হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
সংবাদবিডি ডেস্ক :

জনপ্রিয় কথাশিল্পী, নাট্যনির্মাতা ও চলচ্চিত্রকার হ‌ুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (১৯ জুলাই)। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বাংলা সাহিত্যের বিপুল জনপ্রিয় এই সাহিত্যিকের। 

নন্দিত এ কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশপল্লী ও লেখকের নিজ জেলা নেত্রকোণায় বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে মারণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যান। ২০১২ সালের ১৬ জুলাই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২৩ জুলাই দেশে ফিরিয়ে আনা হয় হ‌ুমায়ূন আহমেদের মরদেহ। ২৪ জুন তাকে দাফন করা হয় তার গড়ে তোলা গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায়।

১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে নজর কাড়েন হ‌ুমায়ূন আহমেদ। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’। এটিও বোদ্ধামহলে প্রশংসিত হয়। সেই থেকে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশকের লেখকজীবনে নিজেকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যান। পাঠককে আবিষ্ট করে রাখার অনন্য কুশলতার কারণে তাঁকে ‘গল্পের জাদুকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়। হুমায়ূন আহমেদের লিখিত গল্প-উপন্যাসে মধ্যবিত্তজীবনের সহজ ও হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও কয়েকটি উপন্যাস লিখেছেন। লিখেছেন শিশুতোষ রচনা ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনি।

হ‌ুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশাফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। স্কুলজীবনে হ‌ুমায়ূন আহমেদকে বাবার চাকরিস্থল কুমিল্লা, সিলেট, বগুড়া, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলায় বাস করতে হয়।

The post হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
68906
বিজয়ের মাস শুরু https://sangbadbd.com/archives/63817 Wed, 01 Dec 2021 05:07:08 +0000 https://sangbadbd.com/?p=63817 দেওয়ান কায়সার : শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ মাসেই জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ধরা দেয় হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা। বাঙালির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক …

The post বিজয়ের মাস শুরু appeared first on sangbadbd.com.

]]>
দেওয়ান কায়সার :

শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ মাসেই জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ধরা দেয় হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা।

বাঙালির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয় এ মাসে।

বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হওয়ার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এ অর্জন হওয়ায় বেদনাবিধুর এক শোকগাঁথার মাসও এ ডিসেম্বর।

এ মাসেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের সহযোগিতায় হানাদার গোষ্ঠী দেশের মেধাবি, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেওয়ার এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোনো নজির বিশ্বে নেই।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে।

১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী।

বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হবার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তার ডাকে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

The post বিজয়ের মাস শুরু appeared first on sangbadbd.com.

]]>
63817
বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ https://sangbadbd.com/archives/61638 Sun, 08 Aug 2021 05:03:55 +0000 https://sangbadbd.com/?p=61638 জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বাঙালির সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ডাক নাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ …

The post বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বাঙালির সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ডাক নাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণ করেন তিনি।

দিবসটিতে সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই হননি, বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বেগম মুজিব তাঁর পিতা-মাতা দুই জনকেই হারান এবং ১৯৩৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও কর্মপ্রেরণাদাত্রী। এই ত্যাগী নারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ। তার বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শসমূহ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয়-দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারে বারে পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি ছিলেন, তখন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বঙ্গমাতার নিকটে ছুটে আসতেন। তিনি তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা বুঝিয়ে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতেন। বিশেষ করে আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিয়ে একটি কুচক্রীমহল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল।

মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি ভেঙ্গে না পড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন দৃঢ়তার সঙ্গে। যুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে কাজ করেছেন, গরীব-এতিম-অসহায় মানুষদের সাহায্য করেছেন, বীরাঙ্গনাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার মতো মহৎ দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব যে কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার ফলে জাতির পিতার পাশাপাশি তিনি আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের রাজনীতিতে তার অনন্য সাধারণ ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এই মহীয়সী নারী ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সপরিবারে খুনি চক্রের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।

জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী, বাংলার মহিয়সী নারী, বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সকল সোনালী অর্জনের নেপথ্য প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় পালন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

The post বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
61638
এক মুক্তপ্রাণ যুবকের জন্মদিন https://sangbadbd.com/archives/61620 Thu, 05 Aug 2021 04:37:39 +0000 https://sangbadbd.com/?p=61620 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শহিদ হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শেখ কামাল এ দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিজগতের এক উজ্জ্বল নাম। সংগঠক হিসেবে তিনি অতুলনীয়। তারই নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আবাহনী ক্রীড়া চক্র, আজকের আবাহনী লিমিটেড। স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীের প্রধান সংগঠক শেখ …

The post এক মুক্তপ্রাণ যুবকের জন্মদিন appeared first on sangbadbd.com.

]]>
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শহিদ হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শেখ কামাল এ দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিজগতের এক উজ্জ্বল নাম। সংগঠক হিসেবে তিনি অতুলনীয়। তারই নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আবাহনী ক্রীড়া চক্র, আজকের আবাহনী লিমিটেড। স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীের প্রধান সংগঠক শেখ কামাল বাংলাদেশের আধুনিক নাট্যচর্চার অন্যতম পথিকৃত্। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি মুহম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর এডিসি ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনী ত্যাগ করে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে যুবমানস গঠনে অধুনিক চিন্তা ও সৃজনশীলতার কর্মযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শেখ কামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেখ কামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের প্রথম শহিদ।

বিধাতার কী নিষ্ঠুর বিধান যে বাঙালির শোকাবহ আগস্টেই শহিদ শেখ কামালের জন্মদিন। বুকে পাথরচাপা কষ্ট নিয়ে আজ আমরা তাকে শুভেচ্ছা বা শ্রদ্ধাই কেবল জানাতে পারি। মনের বিশাল দরজা-জানালা খুলে দিয়ে উদাত্ত স্বরে বলতে পারি না ‘শুভ জন্মদিন’। সবাই মিলে গাইতে পারি না, ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ শেখ কামাল’।

বছর পাঁচেক আগে শেখ কামালের সঙ্গে যারা নানা কর্মকাণ্ডে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন তারা সম্মিলিত হয়ে তার জন্মদিন পালন করেছিলেন ভালোবাসায় ও শ্রদ্ধায়। জন্মদিন পালনে জাতীয় প্রেসক্লাবে সতীর্থ-স্বজনেরা একটি স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এ উপলক্ষ্যে অল্প দিনের প্রস্তুতিতে একটি মুদ্রিত সংকলনও প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশনার শিরানোম ছিল, ‘উদ্দীপ্ত যৌবনের দূত’। মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশে উদ্দীপ্ত যৌবনের দূত হিসেবে এসেছিলেন। চেয়েছিলেন এ দেশের যুবমানস নতুন ও আধুনিক করে গড়ে তুলতে। খেলার মাঠ থেকে নাটকের মঞ্চ, সংগীত ভুবন থেকে জাতীয় রাজনীতি—সবখানেই তিনি আলোড়ন তুলেছিলেন। নতুন প্রতিভা অন্বেষণ করতেন। সবাইকে সমানভাবে আগ্রহ জোগাতেন। বন্ধুবত্সল, পরোপকারী শেখ কামালের সততা, রুচির পরিচ্ছন্নতা, দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতা ও প্রগাঢ় নিষ্ঠার পরিচয় পাওয়া যায় তার কর্মযজ্ঞের প্রতিটি পদক্ষেপে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষ নেতৃত্বের গুণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন যথার্থ যুবনেতা। শেখ কামালের চরিত্রের বহুমাত্রিকতা আজকের দিনের সকলের জন্য শিক্ষণীয়।

‘উদ্দীপ্ত যৌবনের দূত’ প্রকাশনাটি খুব বড় কলেবরে করা সম্ভব হয়নি প্রধানত আর্থিক সামর্থ্যের কারণে। কিন্তু প্রকাশনাটি সমৃদ্ধ হয়েছিল বেশ কয়েকটি অর্থবহ লেখায়। তথ্যবহুল লেখকের তালিকায় ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম থেকে শুরু করে ডাকসুর কর্মচারী গোপাল চন্দ্র দাস এবং শহিদ মধুদার ছেলে অরুণ দে পর্যন্ত। সবচেয়ে তথ্যবহুল এবং সংরক্ষণে রাখার মতো নিবন্ধনটি লিখেছিলেন বন্ধু ড. হাবিবুল হক খোন্দকার। তার নিবন্ধে অনেক অজানা তথ্য ছিল ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়ির অভ্যন্তরীণ আবহ সম্পর্কে। তথ্য ছিল শেখ কামাল এবং তার নববিবাহিতা স্ত্রী কৃতী ক্রীড়াবিদ সুলতানা কামাল সম্পর্কে। ড. খোন্দকার ছিলেন শেখ কামাল এবং সুলতানা আহমেদ খুকীর সহপাঠী। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে একসঙ্গে পড়তেন। খোন্দকার হাবিবের লেখা থেকে জানা যায় শেখ কামাল এবং সুলতানা খুকী লেখাপড়াতেও মেধাবী ছিলেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তাদের আরেক সহপাঠী তওরিদ হুসেইন বাদলকে যখন ‘উদ্দীপ্ত যৌবনের দূত’-এর জন্য একটি স্মৃতিকথা লেখার অনুরোধ করা হলো তখন বাদলের তাত্ক্ষণিক উত্তর ছিল, শেখ কামালের কোনো স্মৃতি নাই। শেখ কামাল আমার কাছে জীবনভর জীবন্ত। উত্তর শোনার পর আমি দ্বিতীয়বার আর তাকে অনুরোধ করি নাই। বাদল হয়তো যথার্থই বলেছে। বন্ধুদের কাছে শেখ কামাল ফ্রেমে বাঁধানো কোনো ছবি নয়। সুদূরের নীহারিকাও নয়। শেখ কামালকে নিয়ে কিছু বলতে কিংবা লিখতে তাই স্মৃতি হাতড়াতে হয় না। এতটাই জীবন্ত, এতটাই সত্য তার উপস্থিতি বন্ধুদের কাছে, ঘনিষ্ঠজনদের কাছে। দুই সহোদরার কাছেও নিশ্চয় সেরকমই। তবে সহোদরাদ্বয়ের দুঃসহ কষ্ট যে সবাইকে ছাপিয়ে, সবকিছুকে ছাপিয়ে—সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যতই বলি না কেন, শেখ কামাল স্মৃতি নয় চিরজীবন্ত, বাস্তব তো তা বলে না! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের করিডরে, টিএসসির মাঠ, মধুর ক্যান্টিনের সামনের রাস্তায়, আবাহনীর নেটে, স্পন্দনের রিহার্সালে অথবা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে কোথাও যে সেই প্রণবন্ত যুবকটিকে আজ দেখি না। আগস্টের পনেরোর যেই উজ্জ্বল প্রভাতে উজ্জ্বল শেখ কামালকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজানো-গোছানো আর্টস ফ্যাকাল্টিতে ভীষণ ব্যস্ত থাকার কথা নিশ্চিত ছিল, সেই প্রভাত থেকেই যে তিনি মর্ত্যের পৃথিবীতে নেই। চোদ্দোর রাতে যিনি বললেন—‘দেশি, ঘরে যাও কাইল তো সকাল সকাল আসতে হবে।’ সেই নির্দেশদাতাই পনেরোর সকাল সকাল নেই হয়ে গেলেন। মানা যায় না। মানা সম্ভবও নয়। তবু ভাবি, কী ভীষণ কঠিনকে মেনে নিয়ে পেরিয়ে এসেছি চল্লিশ বছরেরও বেশি সময়। এবং বন্ধু বাদলের মতোই বলি, শেখ কামালের কোনো স্মৃতি নেই, শেখ কামাল জীবন্ত। কবির ভাষায়—সে এক পাথর আছে কেবলই লাবণ্য ধরে।

শেখ কামালের সঙ্গে আমার পরিচয় রাজনীতির ক্ষেত্রে। ১৯৬৮ এবং ১৯৬৯ সালে গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে আমাদের পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। দুজনেই তখন একই বর্ষের ছাত্র। তবে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। শেখ কামাল ঢাকা কলেজে আর আমি ফরিদপুরের স্বনামধন্য রাজেন্দ্র কলেজে। পরিচয়ের দিন থেকেই আমরা পরস্পর পরস্পরকে ‘দেশি’ বলে সম্বোধন করতাম। ছাত্রলীগের বন্ধনের বাইরে আমাদের দেখা হতো ক্রিকেটের মাঠে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার মঞ্চে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ব্যাচটা সম্ভবত সর্বশেষ র্যাগ ডে উদ্যাপন করেছিলাম শেখ কামালের নেতৃত্বে। সকাল থেকে রং খেলা এবং বিকালে কলাভবনের সামনে মঞ্চ বানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সে সময়কার অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়ক দুলাল ভৌমিকের নেতৃত্বে জগন্নাথ হল অর্জন করল প্রথম পুরস্কার। পুরস্কার নিয়ে যখন সদলবলে হলে ফিরছি তখন আমাদের আনন্দমিছিলে ঢুকে গেল শেখ কামাল। ভাবখানা এমন যে, সেও জগন্নাথ হলের ছাত্র। নির্মল আনন্দের স্রোতে মুহূর্তে গা ভাসিয়ে দেওয়ার এমন স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গি শেখ কামালের মতো আর কখনো দেখিনি। সবার মধ্যে, সবার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সহজাত এবং ঈর্ষণীয় গুণ ছিল শেখ কামালের। বর্তমান সময়ের সকল ক্ষেত্রে যা শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত। ‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে মুক্ত করো হে বন্ধ’—কবিগুরুর এই অসাধারণ বাণীর যথার্থ রূপকার যেন ছিলেন শহিদ শেখ কামাল।

লেখার শুরুতেই বলেছি যে, ১৫ আগস্টের রাতে শেখ কামাল ছিলেন বত্রিশ নম্বরের প্রথম শহিদ। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে কর্তব্যরত সেই কালরাতের সাক্ষী মোহিতুল আলমের মুখে শুনেছি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের হূদয়ছেঁড়া ঘটনার বর্ণনা। বর্বরতার দৃশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে মোহিতুল আলম অশ্রু সংবরণ করতে পারছিলেন না। শুনতে শুনতে চোখের জল আটকানো আমার পক্ষেও সম্ভব হয়নি।

শহিদ শেখ কামালের জন্মদিনে শোকের পদাবলি লিখে ঘনিষ্ঠজনদের হূদয় ভারী করা উচিত নয়। তবু সত্য যে কঠিন এবং কঠিনকে ভালোবেসেই আজ তার জন্য সবাই মিলে ফুলের ডালা সাজাই। হাজার তারার মালা গেঁথে বুকে পাথর বেঁধে বলি—‘শুভ জন্মদিন’। ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ শেখ কামাল’।

The post এক মুক্তপ্রাণ যুবকের জন্মদিন appeared first on sangbadbd.com.

]]>
61620
বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ https://sangbadbd.com/archives/60550 Sat, 03 Apr 2021 03:49:28 +0000 https://sangbadbd.com/?p=60550 উপমহাদেশের বিশিষ্ট আইনবিদ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।  সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ ১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবদুস সালেক ছাত্রজীবনে মেধার পরিচয় দিয়ে পরে বঙ্গীয় সিভিল সার্ভিসের সদস্যপদ লাভ করেছিলেন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন বিচারপতি মোর্শেদের মামা। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯২৬ সালের ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি …

The post বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
উপমহাদেশের বিশিষ্ট আইনবিদ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। 

সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ ১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবদুস সালেক ছাত্রজীবনে মেধার পরিচয় দিয়ে পরে বঙ্গীয় সিভিল সার্ভিসের সদস্যপদ লাভ করেছিলেন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন বিচারপতি মোর্শেদের মামা। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯২৬ সালের ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি রাজশাহী বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতি বিষয়ে তিনি অনার্সসহ বিএ পাস করেন ১৯৩০ সালে। সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ এমএ পাস করেন ১৯৩২ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে আইন পাস করেন ১৯৩৩ সালে। ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ডের লিনকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারী ডিগ্রি লাভ করেন।

দেশে ফিরে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ঢাকা হাইকোর্টে যোগ দেন ১৯৫৫ সালে। ঐ বছরই তিনি ঢাকা হাইকোর্টের বিচারক নিযুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং ১৯৬৪ সালে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর হাইকোর্টের বিচারপতি এবং পরে প্রধান বিচারপতি হলেও এ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শামিল হন তিনি।

বিচারপতি মোরশেদের বাংলা-ইংরেজি ছাড়াও কয়েকটি ভাষায় দখল ও পাণ্ডিত্য ছিল। আইন ছাড়াও তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতি বিষয়ে বহু প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন। গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ছিলেন একজন অবিচল প্রবক্তা।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ স্মৃতিসংসদ আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও কোরআনখানির আয়োজন করেছে।

The post বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
60550
বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আজ https://sangbadbd.com/archives/60363 Wed, 17 Mar 2021 04:28:59 +0000 https://sangbadbd.com/?p=60363 আজ ১৭ মার্চ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এবার উদযাপিত হচ্ছে দিনটি। গত বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন থেকে শুরু হয় মুজিব বর্ষ যা এবছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার …

The post বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
আজ ১৭ মার্চ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এবার উদযাপিত হচ্ছে দিনটি। গত বছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন থেকে শুরু হয় মুজিব বর্ষ যা এবছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসাবেও উদযাপিত হয়। এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃখক বাণী দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপন করা হবে। দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।

এর আগে গতবছর বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহন করা হলেও করোনা ভাইরাসজনিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে মুজিব বর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করে উদযাপিত হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আজ ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশী অতিথিরা অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি জানান, অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন পৃথক থিমভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অডিওভিজুয়াল এবং অন্যান্য বিশেষ পরিবেশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালার থিমগুলো হলো-কাল ১৭ মার্চ ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।

দশদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আজ ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ এবং ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এই ৫ দিনের অনুষ্ঠানে বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানগণ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আগামী কালের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ্, ১৯ মার্চ অনুষ্ঠানে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ২২ মার্চ অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভা-ারী, ২৪ মার্চ অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন।

এই ৫ দিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে সীমিত আকারে ৫০০ জন আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, এই ৫ দিনের অনুষ্ঠানসহ অন্য ৫ দিনের অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হবে। প্রত্যেকদিনের অনুষ্ঠান টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার এই অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়।

তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। তাঁর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড রেজিস্টার এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অন্যদিকে, ২৬ মাচর্ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালীর বহু আকাঙ্খিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বিংশ শতাব্দীতে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যারা বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম।

সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসি’র এক জরীপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী নির্বাচিত হন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।

বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ এই নেতাকে ‘স্বাধীনতার প্রতীক’ বা ‘রাজনীতির ছন্দকার’ খেতাবেও আখ্যা দেয়া হয়। বিদেশী ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তাঁর উচ্চকিত প্রশংসা করেন।

বিগত বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তী কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ক্যাস্ট্রো বলেন, ‘আমি হিমালয়কে দেখেনি, তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি ছিলেন হিমালয় সমান। সুতরাং হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা আমি লাভ করেছি। শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা (নৃশংস হত্যার শিকার) বাংলাদেশের এই মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান, তাঁর স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালবাসা প্রতিফলিত হয়।’ ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নগরীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে এমন মন্তব্য লিখেছিলেন।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য বইয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন।

জার্মানীর সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান উলফ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেন, ‘এই স্মৃতি জাদুঘর আমাদের একজন মহান রাষ্ট্রনায়ককে স্মরণ করিয়ে দেয়, যিনি তার জনগণের অধিকার ও মর্যাদার জন্য লড়াই করেছিলেন এবং অতিদ্রুত স্বাধীনতা ও জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।’

ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূলতা ও বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অটল সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছেন।’

The post বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
60363
নাইজেরিয়ার স্কুলে আক্রমণ, নিখোঁজ শতাধিক শিক্ষার্থী https://sangbadbd.com/archives/59483 Sun, 13 Dec 2020 04:46:21 +0000 https://sangbadbd.com/?p=59483 নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কাটসিনা রাজ্যের একটি স্কুলে বন্দুকধারীদের আক্রমণের পর শতাধিক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির কাটসিনা রাজ্যে গভর্নমেন্ট সায়েন্স সেকেন্ডারি স্কুলকে লক্ষ্য করে গত শুক্রবার রাতে এ আক্রমণ চালায় বন্দুকধারীরা। ওই স্কুলে ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা …

The post নাইজেরিয়ার স্কুলে আক্রমণ, নিখোঁজ শতাধিক শিক্ষার্থী appeared first on sangbadbd.com.

]]>
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কাটসিনা রাজ্যের একটি স্কুলে বন্দুকধারীদের আক্রমণের পর শতাধিক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির কাটসিনা রাজ্যে গভর্নমেন্ট সায়েন্স সেকেন্ডারি স্কুলকে লক্ষ্য করে গত শুক্রবার রাতে এ আক্রমণ চালায় বন্দুকধারীরা। ওই স্কুলে ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আক্রমণকারীরা মোটরবাইকে করে ঘটনাস্থলে এসে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর ফলে আশপাশের মানুষজন পালিয়ে যায়। ওই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ছাড়া অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী পালিয়ে যাওয়ার পর আবার ফিরে আসে। প্রথমে তাদের নিখোঁজ বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বন্দুকধারীরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেককেই ধরে নিয়ে গেছে বলে তাঁরা দেখেছেন।
তবে কেন এ আক্রমণ চালানো হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গতকাল শনিবার জানিয়েছে, তারা ওই বন্দুকধারীদের আস্তানা খুঁজে পেয়েছে এবং এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ওই স্কুলের কতজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছে, তা জানতে গণনা করে নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া যেসব অভিভাবক স্কুল থেকে তাদের সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদেরও কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

The post নাইজেরিয়ার স্কুলে আক্রমণ, নিখোঁজ শতাধিক শিক্ষার্থী appeared first on sangbadbd.com.

]]>
59483
আজ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন https://sangbadbd.com/archives/59451 Wed, 09 Dec 2020 05:52:07 +0000 https://sangbadbd.com/?p=59451 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কন্যা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। ৪৯ বছর বয়সে পা দিলেন তিনি। সারাবিশ্বে অটিস্টিক শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন পুতুল। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। একজন …

The post আজ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন appeared first on sangbadbd.com.

]]>
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কন্যা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। ৪৯ বছর বয়সে পা দিলেন তিনি।

সারাবিশ্বে অটিস্টিক শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন পুতুল। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পুতুলকে ‘হু অ্যাক্সিলেন্স’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে।

মনস্তত্ত্ববিদ সায়মা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিকস এর পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন।

ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্বামীর নাম খন্দকার মাশরুর হোসেন। তিন কন্যা এবং এক ছেলের জনক-জননী তারা।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগে ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

The post আজ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন appeared first on sangbadbd.com.

]]>
59451
শোকাবহ জেলহত্যা দিবস আজ https://sangbadbd.com/archives/58922 Tue, 03 Nov 2020 04:11:16 +0000 https://sangbadbd.com/?p=58922 দেশের ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায় কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ৫০ দিনের মাথায় তেসরা নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে সশস্ত্র লোকেরা হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে। ২৯ বছর এই খুনের বিচার করেনি তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেষতক বিচার হয় কলংকময় জেলহত্যার। কারাগারকে বিবেচনা করা …

The post শোকাবহ জেলহত্যা দিবস আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
দেশের ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায় কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ৫০ দিনের মাথায় তেসরা নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে সশস্ত্র লোকেরা হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে। ২৯ বছর এই খুনের বিচার করেনি তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেষতক বিচার হয় কলংকময় জেলহত্যার।
কারাগারকে বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর নিরাপদ স্থানগুলোর একটি। কিন্তু ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চার ছায়াসঙ্গী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও  ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের তেসরা নভেম্বর। পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বরোচিত দুটি হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয়টি ঘটে এই কারাগারে।

জাতীয় চার নেতার স্বজনরা বলছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে শেখ হাসিনা বের করেছেন। তবে বিচার পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় তিন দশক।
সৈয়দ নজরুল ইমলামের কন্যা সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছায়া সঙ্গীরা নানান প্রলোভনেও ছিলেন তাঁদের নেতার আদর্শের প্রতি অবিচল। জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন তারা।

শত সংকটেও নীতি আদর্শ ও সততার পথে অবিচল থাকতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান সৈয়দ নজরুল ইসলামের  কন্যার।

The post শোকাবহ জেলহত্যা দিবস আজ appeared first on sangbadbd.com.

]]>
58922