চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সম্মানের সাথে খেলে সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। অবিস্মরণীয় এই সাফল্যে ক্রিকেটবিশ্বের দারুণ নজর কেড়েছে লাল-সবুজের দল। বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় মর্যাদাপূর্ণ আসরের শেষ চারে উঠে ইতিহাস গড়া মাশরাফিদের আসর শেষেই শুনতে হলো একটি হতাশার খবর। ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জিতে বাংলাদেশকে টপকে পাকিস্তান র্যাংকিংয়ে ছয়ে উঠে গেছে। বাংলাদেশ তাই আবার নেমে গেছে সাতে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে দারুণ সাফল্যে পেয়ে র্যাংকিংয়ে ছয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে টপকে চয়ে উঠলেও এই অবস্থানটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের দিনই র্যাংকিংয়ে অবনতি হয় বাংলাদেশের। র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ সাতে নেমে গেলে রেটিং পয়েন্ট কমেনি, তাদের পয়েন্ট এখন ৯৪।
র্যাংকিংয়ে অবনতি হলেও ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলাতে খুব একটা শঙ্কা নেই বাংলাদেশের। পরবর্তী বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে শীর্ষ সাতটি দল সরাসরি খেলবে এই আসরে খেলবে। সে পর্যন্ত বাংলাদেশের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
তা ছাড়া সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হতাশাজনক পারফরম্যান্স বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলাকালীন আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ ১-১-এ ড্র করায় দুই রেটিং পয়ে হারিয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে থাকা দলটির র্যাংকিংয়ে আটে ওঠার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তা ছাড়া তারা অষ্টম স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার চেয়ে ১৬ পয়েন্ট পিছিয়ে।