নিউজ ডেস্ক: জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে জনজীবন যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন বিদ্যুতের লোডশেডিং তা আরও অসহনীয় করে তুলেছে। গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার মধ্যেই কয়েক দিন ধরে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। দেশের বেশ কয়েকটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
এর মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে মেরামত-রক্ষণাবেক্ষণের জন্য, যাতে আসন্ন রমজানের বাড়তি চাহিদা পূরণে সমস্যা না হয়। আর দু-একটি কেন্দ্র হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে কারিগরি ত্রুটিতে। কোনো কোনোটি গ্যাস সরবরাহের কারণে।
সোমবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন চার দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো এ সময়ের মধ্যে উৎপাদনে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার পিডিবি (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) জানিয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে তারা দুটি সার কারখানায় (কাফকো ও যমুনা) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ওই গ্যাস বিভিন্ন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়বে। মঙ্গলবার পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। তবে চাহিদা ও ঘাটতির মধ্যে এখনও বড় ফারাক রয়েছে। বেসরকারি হিসাবে এ ঘাটতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এ অবস্থায় লোডশেডিং আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।