নিউজ ডেস্ক : আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয়ার চিন্তা করছে সরকার। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকেও নেয়া হবে বড় অংকের অর্থ। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হলে সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদের হার কমিয়ে আনতে হবে।
বিনিয়োগ চাঙা না হওয়ায় দেশের ব্যাংকগুলোতে টাকার পাহাড় জমছে। অন্যদিকে, ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পরিবর্তে প্রতি মাসেই সরকার আগের নেয়া ঋণ শোধ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের জুন পর্যন্ত সরকারের মোট ব্যাংকঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার কোটি টাকায়। অর্থাৎ এ সময় প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা শোধ করেছে সরকার।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ এসেছে গত ৯ মাসেই। সঞ্চয়পত্র বিক্রি অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়ায় সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষরা।
আগামী বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ২৫ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা ঋণসহ বৈদেশিক ঋণ ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা এবং অনুদান ও ঋণ ১২ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।
ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা তাদের জমে থাকা টাকা সরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক বলেও মত প্রকাশ করেছেন। এজন্য সরকারি সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক ঋণে ভারসাম্য প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ঘাটতি ধরা হচ্ছে জিডিপির পাঁচ দশমিক আট ভাগ।সূত্রঃ ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি
Check Also
বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির
সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …