নোয়াখালী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে স্থানীয় দালালদের দৌরাত্ম্যে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বিদেশগামী যুবকরা। প্রতিবাদ করলেই ঘটছে মারধরের ঘটনা। অফিস সহকারিরা দালালদের কথা স্বীকার করলেও, নিজেদের সীমাবদ্ধতা এবং প্রযুক্তির অপর্যাপ্ততাকে দায়ি করেছেন জেলার জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহকারি পরিচালক।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদ হাছান, বিদেশ যাবার স্বপ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের দুয়ারে। দালালদের হাতে প্রতারিত হয়ে ৩ দিনেও দিতে পারেননি ফিঙ্গারপ্রিন্ট।
একই অবস্থা জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াসহ ৯ উপজেলা থেকে আসা শত শত যুবকের। দিনে দিনে যে কাজ করা সম্ভব, দালালদের খপ্পরে পরে ২-৩ দিনেও পাচ্ছেন না তার দেখা। অফিস সহকারীদের যোগসাজশেই দালালরা এভাবে প্রতারিত করছেন বলে অভিযোগ তাদের।
তারা জানান, টাকা না দিলে ভেতরেই ঢুকা যায় না। টাকাটা অফিসের লোকে না বাইরের লোকে নিচ্ছে বলেও জানান তারা। পুলিশ আসলে এই দালাল চক্র গা ঢাকা দিলেও পুলিশ চলে গেলেই আবারো চলে আসে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কারণকেই বিলম্বের জন্য দায়ী করলেন অফিস সহকারীরা।
দালালদের বিষয়ে কিছু না জানলেও নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে নিলেন জেলা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট, সার্ভার, বিদ্যুৎ এগুলো সব যখন ঠিক হয়ে যাবে তখন কাজটা সহজ হয়ে যাবে। যেহেতু কাজটা একেবারেই সম্প্রতি চালু হয়েছে সেজন্য যে ধরণের সার্ভিস দেয়া দরকার তা পুরোদমে আমরা দিতে পারছি না। তবে আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যে আমরা এটি ঠিক করে ফেলতে পারবো।’
চলতি বছর ১লা জানুয়ারি থেকে নোয়াখালী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে দুই হাজার সাতশ জন ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে নাম নিবন্ধন করেছেন।
-সূত্রঃ সময় টিভি