অনলাইন ডেস্ক:নিরাপদে রেখে বন্দিদের আলোর পথ দেখানোর কথা দেশের কারাগারগুলোর। কিন্তু কারাগারে থেকে বন্দিরা কতটুকু আলোর সন্ধান পাচ্ছেন? বন্দিদের অভিযোগ, থাকার জায়গা সংকট, চিকিৎসা সেবা না পাওয়া ও মানহীন খাবারসহ সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত তারা।
তবে টাকা হলে নাকি সবই পাওয়া যায় জেলখানার মধ্যেও। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দায়ী করছেন, কারাগারের কিছু অসাধু কর্মকর্তার দুর্নীতিকে।
অন্ধকার থেকে আলোর পথের সন্ধান দিতে উঁচু প্রাচীরের এ বন্দিশালা। নিয়তি কিংবা অপরাধের অন্ধকার জগতের পথ ধরে যারা বন্দিশালার বাসিন্দা হয়েছে, তাদের জন্য শৃঙ্খলিত জীবনই এখানকার বাস্তবতা। কিন্তু, প্রতি মুহূর্তে নানান সমস্যা যেনো অমানবিক করে তোলে উঁচু দেয়ালের জীবন যাপনকে।
দিনের নির্দিষ্ট ১০ ঘণ্টা বাদে বাকি সময় বন্দিদের রাখা হয় গ্রিলের ভেতর। বেশীর ভাগ কক্ষেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশী বন্দী থাকায় টাকা ছাড়া শোয়ার জায়গাও হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ আছে খাবারের মান, পর্যাপ্ত কাপড় ও টয়লেট না থাকা নিয়েও।
কারা অধিদপ্তরের সূত্র মতে, ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশে কারাগার আছে মোট ৬৮টি। এ সবের মোট ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজারের কম হলেও এ মুহূর্তে বন্দি আছে প্রায় আশি হাজার।
বন্দিদের সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে ১৮৬৪ সালের ব্রিটিশ জেলকোড অনুযায়ী। বেশীর ভাগ কারাগারেই নেই হাসপাতাল। কারাগারগুলোর ১১৭ টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও আছে মাত্র ৬ জন। সব রোগের জন্যই দেয়া হয় একই ওষুধ।
কারাগারের এ পরিস্থিতিকে মানবিকতার চরম বিপর্যয় উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এর জন্য দায়ী করছেন কারাগারের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘হাজতিদের জন্য যে বরাদ্দ থাকে তা অপর্যাপ্ত। এই অপর্যাপ্ত বরাদ্দের ও আবার সঠিক ব্যবস্থাপনা নেই।’
সমস্যা স্বীকার করে কারা কর্তৃপক্ষ দুষছেন জনবল সংকটকে। পাশাপাশি জাতিসংঘের মান অনুযায়ী বরাদ্দ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তারা।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জfতিকভাবে বন্দীদের জন্য একটা স্টান্ডার্ড মিনিমাম নিয়ম আছে জাতিসংঘ প্রণীত, আমরা সে অনুযায়ী খাদ্য প্রস্তাব করেছি এবং সেটাই দেই।-সূত্রঃ সময় টিভি