অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার উন্নতি হলেও পুলিশ রিপোর্ট পেতে দেরি হবার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে তা সরবরাহ করতে পারছেনা পাসপোর্ট অফিস। প্রয়োজনীয় সময়ে পাসপোর্ট না পেয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, ভেরিফিকেশনের নামে আর্থিক ফায়দা লুটছেন কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা। তবে জরুরী ক্ষেত্রে পুলিশ রিপোর্ট ছাড়াও পাসপোর্ট সরবরাহের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পাসপোর্ট অফিস।
শিক্ষা, চাকুরী, চিকিৎসা সহ না প্রয়োজনে প্রতিদিনই প্রবাসে পাড়ি জমাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে। কিন্তু দেশের বাইরে যেতে সবার আগে যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট। পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য সহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হলেও প্রথমবার পাসপোর্ট করাতে প্রয়োজন অনুকূল পুলিশ রিপোর্ট। আর ঝামেলার শুরু সেখানেই।
সঠিক সময়ে পুলিশ রিপোর্ট না পাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পাসপোর্ট পাচ্ছেননা প্রত্যাশীরা।
ভেরিফিকেশনের নামে দায়সারা তদন্ত করে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা আর্থিক ফায়দা নিচ্ছেন বলে মত অপরাধ বিশ্লেষকদের।
অপরাধ বিশ্লেষক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘কিছু টাকা পয়সা দিলে দেখা যায় পুলিশ কর্মকর্তারা ভেরিফিকেশনে যা যা লাগবে তা নিজেরাই করে দেন, প্রয়োজনীয় যাচাই, বাছাই পর্যন্ত করেনা।’
নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে জরুরী ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন বা পুলিশ রিপোর্ট প্রাপ্তি ছাড়াও পাসপোর্ট সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান বহিরাগমন ও পাসপোর্ট বিভাগের মহাপরিচালক।
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট বিভাগ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার আর একটা নিয়ম করেছে সেটা হচ্ছে টিএলও অর্থাৎ টাইম লিমিট ওভার। টাইম লিমিট ওভার হয়ে গেলে পার্সপোর্ট দিতে পারে এই ক্ষমতাটি দেওয়া আছে।’
শুধু পাসপোর্টই নয় ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ বিভিন্ন চাকুরীর ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন বা যাচাই বাছাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়সারা ভাব মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।-সূত্রঃ সময় টিভি