ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়ায় উদ্বেগ!

বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার। যদিও মধ্য আমেরিকার এল সালভাদর ছাড়া কোনো দেশই এখনো ভার্চুয়াল এসব মুদ্রার লেনদেন অনুমোদন দেয়নি।

তবু থেমে নেই এসব মুদ্রার লেনদেনের বিস্তৃতি। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন নিয়ে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

এইএমএফ বলছে, আর্থিক অস্থিতিশীলতা, ভোক্তা প্রতারণা ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের ঝুঁকি তৈরি করা ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে যা রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন। ২০২০ সালের শুরু থেকে ডিজিটাল কিংবা ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টো সম্পদের মূল্য ১০ গুণ বেড়ে ২ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঠেকাতে সরকারগুলোর আরও সক্রিয় এবং তহবিল তত্ত্বাবধান করা প্রয়োজন।
আসন্ন গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টের একটি অধ্যায়ে আইএমএফ জানিয়েছে, অনেক নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে শক্তিশালী অনুশাসনের অভাব এবং ঝুঁকি আছে। বাজার অস্থিতিশীল হলে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময়ে ব্যাহত হয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রোফাইল হ্যাকিংয়ের মতো ঘটনাও ঘটে। যদিও এসব ঘটনা আর্থিক স্থিতিশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। তবে ক্রিপ্টো সম্পদগুলো আরও মূলধারায় পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড় পরিসরে অর্থনীতির জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকি তৈরি করছে।

ক্রিপ্টোকারেন্সির অপর্যাপ্ত প্রকাশ ও তদারকির কারণে ভোক্তাদের জন্য যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ধরনের কিছু মুদ্রা সম্ভবত কেবল ফটকা কিংবা সরাসরি জালিয়াতির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। ক্রিপ্টো সম্পদ বেনামি থাকায় এটি নিয়ে নিয়ন্ত্রকদের কাছে কোনো তথ্যই থাকে না। এ জন্য অর্থ পাচারের পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি অবারিত সুযোগ তৈরি করে।

Check Also

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হতাশা প্রকাশ কানাডার

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছে কানাডা। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও …