শোক আর বেদনাময় স্মৃতির পসরা নিয়ে ফিরে ফিরে আসে পনের আগস্ট

শোক আর বেদনাময় স্মৃতির পসরা নিয়ে ফিরে ফিরে আসে পনের আগস্ট। বয়স বাড়লেও বেদনা এতটুকু ঘুচেনি ঘাতকের বুলেটে সেদিন প্রাণ হারানো শেখ ফজলুল হক মনি ও আরজু মনি’র ছোট্ট সন্তান, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের।

সংবাদ বিডি ডট কম দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, ‘বাবা-মার সঙ্গে সন্তানের চির অমলিন সব স্মৃতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ইতিহাসের কুখ্যাত খুনী চক্রের কারণে।’

বয়স তখনও ৪ হয়নি; পনের আগস্টের কালরাতে হারান বাবা শেখ ফজলুল হক মনি ও মা আরজু মনিকে। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শেখ ফজলে নূর তাপস ও বড় ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ। বিভীষিকাময় সেই সময়ের স্মৃতিচারণে বলেন, ‘মেঝেতে পড়ে আছে বাবা-মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ; এছাড়া আর তেমন কিছুই মনে পড়ে না।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বাবার সেই রক্তাক্ত দেহটা পড়ে ছিল সিড়ির মেঝের উপরে। বাবার গলায় এটি গুলি লেগেছিল। বাবা একটি সাদা হাটাকাটা গেঞ্জি পড়া ছিল। এটা আমার আবছা মনে পড়ে। বাবার লাশটা যখন নিয়ে যাওয়া হয় তখন মেঝের উপর যে রক্ত জমাট ছিল সেটা আমার স্মৃতিতে খুব পীড়া দেয়।’

পনের আগস্টের খুনীদের বিচার হয়েছে। তবু স্বজন হারানোর অমোচনীয় এ বেদনা মৃত্যু অবধি তাড়িয়ে ফিরবে। ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘যতই আমরা বড় হচ্ছি বা বয়স বাড়ছে এই বেদনাটা আসলে যাবার নয়। আমাদের জীবনটা খুব কষ্টের ছিল, অনেক সংগ্রামের ছিল। বাবার সাথে আমার কোন স্মৃতি নেই, আনন্দ, ভালোবাসা, আবেগ কেনোটাই মনে পড়ে না।’

স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছরের মাথায় স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীরা আজো ঘাপটি মেরে আছে; সতর্ক থাকার আহবান সেদিনের ছোট্ট শিশু শেখ ফজলে নূর তাপসের। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা তো সব সময়ই তাদের ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে।’

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …