শোকাবহ জেলহত্যা দিবস আজ

দেশের ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায় কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ৫০ দিনের মাথায় তেসরা নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে সশস্ত্র লোকেরা হত্যা করে জাতীয় চার নেতাকে। ২৯ বছর এই খুনের বিচার করেনি তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেষতক বিচার হয় কলংকময় জেলহত্যার।
কারাগারকে বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর নিরাপদ স্থানগুলোর একটি। কিন্তু ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চার ছায়াসঙ্গী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও  ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের তেসরা নভেম্বর। পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বরোচিত দুটি হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয়টি ঘটে এই কারাগারে।

জাতীয় চার নেতার স্বজনরা বলছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে শেখ হাসিনা বের করেছেন। তবে বিচার পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় তিন দশক।
সৈয়দ নজরুল ইমলামের কন্যা সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছায়া সঙ্গীরা নানান প্রলোভনেও ছিলেন তাঁদের নেতার আদর্শের প্রতি অবিচল। জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন তারা।

শত সংকটেও নীতি আদর্শ ও সততার পথে অবিচল থাকতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান সৈয়দ নজরুল ইসলামের  কন্যার।

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …