তখন তিনি কিন্তু মন্ত্রী

চৌধুরী আবুল হাসান: গত ১৩ই এপ্রিল নিউজ চট্টগ্রাম ২৪.কম এবং কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে সাংবাদিক নেতা পরিচয়ধারী রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর ” আজ বটবৃক্ষের কথাই বলি” শীর্ষক প্রবন্ধ /প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ইঙ্গিতমুলক লেখাটিতে নাম উল্লেখ না করে চট্টগ্রাম এর একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয়, নিখাঁদ ভদ্র মানুষ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকে নিয়ে লেখা বিষোদগার। প্রথমে মনে করলাম কাগজে অনলাইনে কত কিছুই না লিখে, মিডিয়ায় সত্য অর্ধসত্য, অসত্য কত কিছুই না প্রচার হয় সবকিছু দেখতে নেই।এই দুর্যোগের সময় পাশ কাটিয়ে যেতে পারলেই ভালো।কিন্তু না।লেখকের লেখনী যে মানুষটিকে নিয়ে তাকে আমরা খুব কাছে থেকেই দেখেছি।বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যার নেতৃত্ব আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে, নেতাকর্মীদের প্রতি তার যে মমত্ববোধ এমন কর্মীবান্ধব বয়োজৈষ্ঠ্য মানুষকে নিয়ে এমন ভিত্তিহীন লেখনী কোন অবস্থাতে কাম্য নয়।যেকোন সুস্থ মানুষ এমন লেখনীতে কষ্ট পাবে। লেখক তার লেখনীর শুরুতেই প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনেছেন।আমরা জানি মহিউদ্দিন ভাই আদর আপ্যায়নে উদার ছিলেন।কিন্তু যে নেতাকে কেন্দ্র করে লেখক তার কলম ধরলেন সে নেতার নন্দনকানন এর বাড়িতে/মিরসরাইতে তো কখনও আদর আপ্যায়নের কমতি দেখিনি।নেতার বাসভবনের দোতলার পুরোটাই কর্মীদের অপেক্ষালয় হিসেবে নির্দিষ্ট। এখানে আগত নেতাকর্মীদের সবসময় আপ্যায়ন করা হয়।এইতো সেদিন মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম ভাইয়ের সমর্থনে চট্টগ্রাম উত্তর,দক্ষিণ, মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথসভা হয় নগরীর জিইসিস্থ নেতার প্রতিষ্ঠিত হোটেলে(যেহেতু পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, মালিকানাধীন না বলা ভালো)।সেদিন তিনি আগত চারশতাধিক নেতাকর্মীদের ডিনার করিয়েছিলেন। এর আগে গতবার আ জ ম নাছির ভাই নমিনেশন পেয়েছিলেন তখনও এরুপ আয়োজন হয়েছিল সেই হোটেলেই।যার সমস্ত খরচ বহন করেছিলেন নেতা নিজেই।এর কদিন পর জিইসির এই হোটেলেই একদিন সাংবাদিক সম্মেলন হয় মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে।কই সাংবাদিক বন্ধুরা আপ্যায়ন না করিয়ে যেতে দেননি।প্রতিবেদনের একপর্যায়ে তিনি লিখেছেন “গণমাধ্যম কর্মীদের কাউকে ডেকে পাশে বসিয়ে চা খাইয়েছেন বলে আমার জানা নাই”। আমার কথা আপনি জানবেন কোত্থেকে! আপনি সেই তালে থাকলেতো? এই তো সেদিন চটগ্রাম এর এক সাংবাদিক সকাল বেলায় নেতার ঢাকার বাসায় গেলেন,নেতা তাকে পাশে বসালেন। কুশল বিনিময় হলো, আপ্যায়নের একপর্যায়ে নেতা তাকে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তিনি(সাংবাদিক) বললেন তার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাকে বদলি করে শহরে(চট্টগ্রামে) আনতে হবে।তিনি(নেতা)জিজ্ঞেস করলেন আমাকে কি করা লাগবে?সাংবাদিক বললেন আমাকে একটি ডি.ও লেটার দিতে হবে, মহাপরিচালক (প্রাথমিক শিক্ষা)কে বলে দিতে হবে।তিনি তৎক্ষনাৎ তাঁর এপিএস কে বললেন দ্রুত একটি ডিও দিয়ে দেয়ার জন্য।আর নিজের ফোনটা হাতে নিয়ে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা কে কল দিলেন।তিনবার রিং হলেও ধরলেন না,চতুর্থ বার ধরলেন।তিনি সাংবাদিক এর স্ত্রীর বদলির বিষয়টি মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা কে বলে দিলেন।দু/চারদিন পর সাংবাদিক তার স্ত্রীর বদলির বিষয়টি জানতে পারেন।লেখকের দৃষ্টিতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সম্পর্ক না থাকা এ নেতার সাংবাদিক বাৎসল্য আরো অনেক দৃষ্টান্ত আছে।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের ১.৫ বছরের মাথায় আমাদের এ নেতা মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত হন।মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার একবছরের মাথায় চট্টগ্রাম এর দুইজন সাংবাদিককে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আমেরিকা পাঠিয়েছিলেন। এদের একজন দৈনিক আজাদীর হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এবং অপরজন দৈনিক পূর্বকোণের প্রয়াত আতাউল হাকিম।এইতো ক’বছর আগে চট্টগ্রাম এর কিছু সাংবাদিক ভাই তাকে অনুরোধ করলে তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি কনফারেন্স হল করে দেন।সাংবাদিক বন্ধুরা এস রহমান হল হিসেবে এট নামকরণ করেন।এ নেতা নিজে উপস্থিত থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে এ হলের উদ্বোধন করেছিলেন।আমার মনে হয় লেখকের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তেমন একটা যাতায়াত হয়না।যদি তাই হত তিনি অন্ধ না হন নিশ্চয় এস রহমান হল তার চক্ষুর আড়াল হত না।লেখক ডিসি হিল নিয়ে কম আজগুবি কথা বলেননি।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও ডিসি হিলের আধুনিকায়ন করেছিলেন।এরপর থেকেই শহরের লোকজন কোলাহল মুক্ত হয়ে প্রাতঃভ্রমণ ও বৈকালিক ভ্রমণে ছুটে আসে।পরবর্তীতে আরো কয়েকদফা সম্প্রসারণ করতে চাইলেও দাপ্তরিক জটিলতায় হয়ে উঠেনি।শুনেছি এটি বর্তমানে একটি বড় পরিকল্পনা রয়েছে।শুধু তাই নয় তিনি আগ্রাবাদস্থ জাম্বুরি পার্ক ও বায়েজিদস্থ বায়েজিদ পার্ক চট্টগ্রাম এর মানুষের মনে আলাদা স্থান করে নিয়েছেন। আমার মনে হয় এই দুটি পার্ক লেখকের স্মৃতি থেকে হারিয়ে গিয়েছে অথবা তিনি এ নগর সম্পর্কে অবগত নন।আমরা চট্টগ্রামবাসী যতদিন বেঁচে থাকবো চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর কথা ভুলবো না।বিমানমন্ত্রী থাকাকালীন নির্দিষ্ট সময়েরও আগে তিনি চট্টগ্রাম বাসীকে এ বিমানবন্দর উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে। এইতো সেদিনের কথা একটা চক্র চট্টগ্রাম এর ৩৬ টি পরিত্যক্ত বাড়ি গ্রাস কর‍্যে চেয়েছিল। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে এ ৩৬ টি বাড়ি রক্ষা করেন এবং ৩৩টিতে বর্তমানে বহুতল ভবন নির্মাণ এর কাজ চলমান রয়েছে।পাঁচলাইশ ও কাতালগঞ্জে ৭ টি পরিত্যক্ত বাড়ি ভেঙ্গে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।এভাবে আরো অনেক। শুধু চোখ বন্ধ না রেখে কষ্ট করে খোঁজ নিতে হবে।এভাবেই এ নেতা চট্টগ্রাম শহরের আলোবাতাস নিয়েছেন বলেই নিজের জীবনের ৭৭টি অব্দ অতিক্রম করার পরও চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবেন,দেশ নিয়ে ভাবেন,চট্টগ্রাম এর জন্য করেন,দেশের জন্য করেন। তাই লেখকের সুফল নেয়ার অভিযোগ এর প্রতুত্তরে বলতে চাই এই নেতা মাত্র ২৮ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে দেশগড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন এবং দেশের অন্তিমকালেও নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তা হয়তো লেখকের স্বল্প দৃষ্টিতে পড়ছেনা।যিনি কখনো রাজনীতি, দেশ,মানুষের বাইরে কিছু ভাবেননি তিনি গায়ে পড়ে কখনো সিদ্ধান্ত দেন না।একজন সৎ যোগ্য, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে চট্টগ্রাম মহানগর, দক্ষিণ উত্তরজেলার বিষয়ে পরামর্শ দেন। লেখকের দৃষ্টিমতো এই ক্রান্তিকালে চট্টগ্রাম শহরে তার এই মুহূর্তে কিছু করণীয় আছে বলে আমি মনে করিনা।এখানে মহানগরের নেতারা আছেন,প্রশাসন আছে তারা দেখভাল করছেন।কিন্তু আমাদের নেতা একটি মুহুর্তের জন্যও নিজ এলাকাকে বিচ্ছিন্ন রাখেন নি।তিনি প্রতিমুহূর্তে তাঁর এলাকার খোঁজ খবর নিচ্ছেন।তার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন, দলীয় নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিকভাবে ত্রাণ তৎপরতা সহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। লেখকের নেতার উদ্দেশ্য করে লেখা “তোমরা/তাহারা এখন কোথায়?কিংবা তাহাদের মালেয়শিয়ান পরোটা, অস্ট্রেলিয়ান দুধ কিংবা স্পেনের মধু মুখে দিয়ে সকাল শুরু করা হাইব্রিড পুত্র কন্যারা,পোষ্যরা, রাজনীতির কথিত উত্তরসূরীরা কে কোথায়?কিইবা করছেন? এ প্রসঙ্গে লেখক যদি অন্ধ না হন আমি দেখিয়ে দিতে চাই আপনি হয়তো জানেন না আমাদের নেতার সকাল শুরু হয় এক কাপ চা আর ১টি বেলা বিস্কুট দিয়ে।আর নাস্তা?দুটি রুটি ও হালকা ভাজি দিয়ে।বেশি হলে বাড়তি একটা ডিম।যিনি তার নির্বাচনী এলাকায় ড্রাইভার হোটেলে ড্রাইভারদের পাশে বসে নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটা,সেদ্ধভাত খেতে অভ্যস্ত এমন নেতার সকালের নাস্তা এর চেয়ে বেশি আর কি হবে।আসলে তার জীবনটা এমন সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি সোনার চামুচের প্রত্যাশা করেন না কখনও। আর হাইব্রিড উত্তরসূরী? না,তিনি হাইব্রিড নন।আমেরিকার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে ব্যবসা বানিজ্য করছেন,রাজনীতি করছেন। আমার এ নেতা চট্টগ্রাম এর আওয়ামী রাজনীতির মনোনয়ন অভিভাবক হওয়াতে কষ্ট পেয়েছেন লেখক!এটা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কারণ ১৯৬৯ সালে কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর সাথে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, ৭০ এর নির্বাচনে এমপিএ,৭৩ এ এমপি, ৭৫ পরবর্তীতে দল পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ, ৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তার ভুমিকা,পরবর্তীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচল থাকা,জিয়া এরশাদের মন্ত্রীর প্রস্তাবে লাথিমারা,৮০ সালে নিউমার্কেট মোড়ে পায়ের রগ কেটে যাওয়া,৯১ তে,ফটিকছড়ি তে অল্পতে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এমন হাজারো ত্যাগ তিতিক্ষার আঁধার এ নেতাকে মনোনয়ন অভিভাবক না করে কাকে করা উচিত লেখকের কাছে প্রশ্ন রাখছি। এ নেতার ৭১ এর যুদ্ধের কথা নাইবা বললাম। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর আগেই বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাকটরি তে বিস্ফোরক এর জন্য যাওয়া,২৫ মার্চ শুভপুর ব্রিজ ধ্বংস করা,এম এ হান্নানের সাথে স্বাধীনতা ঘোষণায় অংশগ্রহণ, ভারতে সিইনসি স্পেশাল ট্রেনিং গ্রহণ, সর্বোপরি দেশের ভিতরে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ও দুঃসাহসিক অপারেশনে অংশগ্রহণ করে তিনি যে অসীম সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন এমন মানুষটি একটু গায়ে পড়ে কথা বলা,তেল মারা, তোষামোদির এধরনের গুণগুলো নাও থাকতে পারে।আমরাও শ্রদ্ধা রেখে এ মানুষটির এ দোষগুলি না দেখলেও পারি।ওনার উত্তরসুরীদের প্রসঙ্গে আরো একটি কথা বলা দরকার। জেনে আশ্চর্য হবেন মন্ত্রী থাকাকালীন উনার ছেলেরা কখনও উনার দপ্তরে যাননি।কখনো কোন তদবিরে জড়ায়নি। যাক লেখক তার এ লেখনীর মাধ্যমে কি অর্জন করেছেন তিনিই ভালো বুঝবেন। বোধজ্ঞান বা বোধশক্তি একজন মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ । এ বোধজ্ঞানে যখন পচন ধরে তখন সে মানুষটির ভিতর আর কিছু থাকেনা। তখন সে ভালোমন্দ ভুল যায়। যাই হোক আমাদেরকে বোধজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ হতে হবে।এ বোধশক্তিকে কোন কিছুর কাছে বিক্রি করা যাবে না। যাক আমার ও প্রিয়নেতার সাথে একজন তৃণমূল কর্মীর টেলিফোন আলাপ দিয়েই আমি ইতি টানছি- সেদিন শনিবার। সকাল ১০ টার মত হবে। আমরা উনার নন্দনকাননের বাসায় অপেক্ষালয়ে। উনার মোবাইল বেজে উঠলো। অপরপ্রান্ত থেকে -হ্যালো -হ্যালো কে? -আইঁ জোরারগজতুন কইয়ের। -এ, কি অইছে?ক,তুই কন?কিল্লাই ফোন কইচ্ছস? -আই জোরারগজ এর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য। -বুইজলাম।ত কি অইছে? -আগামী শনিবার আর বড্ডা ভাইসার বিয়ে।আমনেরে আইয়ন লাইগব। -বিয়ে কন্ডে অইব? -জোরারগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে। -আচ্ছা ঠিক আছে আই আমু।তুই আতা(উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি) রে কই রাখিস। কতটুকু কর্মীবান্ধব হলে একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রলীগ কর্মী এরকম একজন সিনিয়র নেতার সাথে কথা বলতে পারে। তখন তিনি কিন্তু মন্ত্রী। (লেখকের একান্তই নিজস্ব মতামত)

Check Also

গণভবনের আশপাশে মোবাইল হারিয়েছেন সাকিব আল হাসান, থানায় জিডি

সংবাদবিডি ডেস্ক : গণভবনের আশপাশের এলাকায় নিজের মোবাইল ফোন হারিয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। মোবাইল …