বাংলাদেশের নারীরা দালালের পাল্লায় পরে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার হবিগঞ্জের এক নারীকে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও আরও ১৮ জন নারী এখনো নিখোঁজ। যাদের প্রত্যেকেই একই দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিলো। স্থানীয় এমপি জানান, তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এদিকে দালালদের ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
দালালের খপ্পরে পরে স্বপ্ন ভেঙ্গে, নির্যাতন সহ্য করে সৌদিআরব থেকে দেশে ফিরেছেন এক নারী। ভয়ংঙ্কর স্মৃতি নিয়ে হবিগঞ্জের সেই ভুক্তভোগী নারী এখন আদালত পাড়ায় ঘুরছেন দালালদের বিচারের জন্য। ৬ ডিসেম্বর এমন দালালদের মাধ্যমে আরো ১৮ জন নারী গেছেন সৌদি আরবে। তারাও নির্যাতন সহ্য করছেন বলে জানান ফেরত আসা ভুক্তভোগী নারী। তবে এখন তারা কোথায়, কী অবস্থায় আছে তা জানা যায় নি।
নিখোঁজ নারীদের উদ্ধারের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। সিলেট হবিগঞ্জের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া বলেন, ‘দালালরা যে নারীদের চিহ্নিত করে পাচার করছেÑ এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে পারলে নারীদের মুক্ত করা সম্ভব।’
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় তিনজনকে গেপ্তার করা হয়েছে। তবে পাচারের মূল হোতা সেকুল মিয়া ও এজেন্সি গ্রীন বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
সিলেট বিভাগের সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা সুমন মালাকার বলেন, ‘দালালদের ধরার জন্য অভিযান চলছে। যেকোন সময়ে তাদের অবস্থান জানা গেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।’ সূত্র : যমুনা টিভি