নিজস্ব প্রতিবেদক: ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে তিনি একথা জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সড়কে যে অরাজকতা চলছে, সেটি পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করছে। ধৈর্য থাকা মানে এই নয় যে, যা চলছে তা শুধু দেখেই যাব। সেটি ভেঙে গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যা ঘটেনি তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন অভিনেত্রী কীভাবে অভিনয় করেছেন, কেঁদেছেন তা সবাই দেখেছেন। মূলত তার উদ্দেশ্য ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘একজনকে দায়িত্বশীল নেতা বলে জানি। তিনি ঢাকায় নামতে বলেন, উদ্দেশ্য ভালো ছিল না। ছেলেরা ব্যাগে বইয়ের পরিবর্তে পাথর নিয়ে নেমেছিল। রাতারাতি হাজার স্কুল ড্রেস বানানো হলো। এ সব ভিন্ন উদ্দেশ্যের জন্য করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তাদের দাবি সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। অথচ তারা কিছু বলতে পারে না। নয় দফার সবগুলোই পূরণ করা হয়েছে।’
সড়ক পরিবহন আইনটি আগামীকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের সামনে আন্ডারপাস তৈরিতে এরই মধ্যে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হওয়ার কথা জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এদিন তিনি বলেছেন, দেশব্যাপী রোববার থেকে শুরু হবে ট্রাফিক সপ্তাহ। এ সময় গাড়ির চালকের লাইসেন্স, ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটকসহ ট্রাফিক আইনে যা যা করণীয়, সব করা হবে। এ ক্ষেত্রে স্কাউট সদস্যরা ছাড়াও পুলিশের কাজে সহায়তা করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা।