আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে অন্তত ২৫৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৪০০ শতাধিকও অন্তত ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আক্রান্ত ১৭টি অঞ্চলের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতায় এক হাজার ১শ’ সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করছে।
শুক্রবার রাতভর ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর পানি পাড় উপচে মোকোয়া শহর প্লাবিত হয়ে যায়। শনিবার সকালে ধসে পড়ে বহু ঘর, মাটির নিচেও বাড়িঘর চাপা পড়ে।
ধ্বংসস্তূপে শ্বশুরকে খুঁজে ফেরা ৪২ বছর বয়সী মারিও উসালে জানান, শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড় হয়। এতে আমার শাশুড়িও নিখোঁজ হন। দুই কিলোমিটার দূরে তাকে মাথায় গুরুতর জখম অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার জ্ঞান রয়েছে।
ইতিমধ্যেই দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস। ওই এলাকায় জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত একজন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মোকোয়া শহরের মূল হাসপাতালে আহত মানুষদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
শহরটির গভর্নর সরেল আরোকা কলম্বিয়ার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আশপাশের সব এলাকা মাটিতে চাপা পড়ে গেছে।
এদিকে, উদ্ধার কর্মীরা জানাচ্ছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের নেতারা। মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স উদ্ধার কাজে ও ত্রাণ তৎপরতায় সাহায্যের কথা জানিয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে, ২০১১ সালের পর চলতি মার্চ মাসেই সবচেয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে কলম্বিয়াতে। পুতুমায়ো ইকুয়েডর ও পেরু সীমান্তে অবস্থিত। চলতি বছরের শুরুতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পেরুতে বন্যা ও ভূমিধসে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।