শ্রীলঙ্কার জয়ে সিরিজে সমতা

স্পোর্টস ডেস্ক:শ্রীলঙ্কা ২৮০ রান করুক না কেন, বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয়ের সব উপলক্ষ্য তৈরি ছিল। ডাম্বুলায় প্রথম ম্যাচে এই দলটির বিপক্ষেই তো ৩২৪ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কলম্বোর শ্রীলঙ্কা যে একেবারে আলাদা। সিরিজে সমতায় ফেরানোর জন্য নিজেদের সেরাটা উজার করে দিয়েছে স্বাগতিকরা। পরিশ্রমের পুরস্কারও পেয়েছে তারা। দুর্দান্ত বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭০ রানে হারিয়ে ওয়ানেডে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা।

সকালে টসে অবশ্য জিতেছিল বাংলাদেশে। উইকেটের অবস্থা বুঝে অধিনায়ক মাশরাফি নিলেন ফিল্ডিং। টসের সুবিধা অবশ্য নিতে পারেনি তারা শুরুতে। উদ্বোধনী জুটিতে লঙ্কানরা যোগ করে ৭৬ রান। এরপর টপ ও মিডল অর্ডারের সবাই কমবেশি অবদান রাখায় ৫০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা জমা করে ৯ উইকেটে ২৮০ রান। জবাবে বাংলাদেশ ৪৪.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় ২১০ রানে।

আরও আগে শেষ হয়ে যেতে পারত বাংলাদেশের ইনিংস। হয়নি আসলে মেহেদী হাসান মিরাজের ইনিংসের কল্যাণে। শেষ দিকে নেমে এই অলরাউন্ডার খেলেন ৫১ রানের লড়াকু ইনিংস।

টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরাই শেষ করে দিয়ে যান বাংলাদেশকে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪ রান যোগ হতেই সফরকারীরা হারায় তামিম ইকবালের উইকেট। নুয়ান কুলাসেকারাকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার মাত্র ৪ রান করে। শুরুর ওই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার আঘাত কুলাসেকারার, এবার তার শিকার সাব্বির রহমান। প্রথম ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান রানের খাতা খোলার আগেই ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক দিনেশ চান্ডিমালের গ্লাভসে। খানিক পর মুশফিকুর রহিমের পরিণতিও একই। নিজের মুখোমুখি প্রথম বলেই তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন সুরঙ্গা লাকমলের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে।

মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে টেনে তোলার কাজে লেগে পড়েন সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান। চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেন ৭৭ রান। সময় উপযোগী ইনিংস খেলে ধীরে ধীরে নিজের রান বাড়িয়ে নেওয়া সৌম্যকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কা ভাঙে এই জুটি। দিলরুয়ান পেরেরার বলে স্টাম্পড হয়ে যান তিনি ৩৮ রান করে। এই জুটি ভাঙার পর আবার বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে এসেই সেক্কুগে প্রসন্ন ফেরান মোসাদ্দেক হোসেনকে। বোল্ড হয়ে এই অলরাউন্ডার ফেরেন ৯ রান করে।

আশার আলো হয়ে তবু জ্বলে ছিলেন সাকিব। অসাধারণ সব শটে এই অলরাউন্ডার পূরণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফসেঞ্চুরি। যদিও ৫০ পূরণের পরপর তিনিও ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ, ৬২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৫৪ রান। দিলরুয়ান পেরেরার বলে শর্ট কাভারে ধরা পড়েন গুনাথিলাকার হাতে। বাংলাদেশের স্বপ্নের মৃত্যুও যেন হয়ে যায় তাতে।

নিজেকে প্রমাণের ভালো একটা মঞ্চ পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। যদিও কাজে লাগাতে পারেননি। দলের দরকারের সময় উইকেট ছুড়ে দিয়ে বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছেন আরেকবার। লাকমলের লেগ সাইড দিয়ে যাওয়া ওয়াইড ডেলিভারিতে অযথা ব্যাট চালিয়ে ধরা পড়েন চান্ডিমালের গ্লাভসে। শ্রীলঙ্কা সফরে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া মাহমুদউল্লাহর অবদান মাত্র ৭ রান।

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …