প্রথম ১০ ওভারের হতাশার চিত্র মুছে ফেলেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের ব্রেক থ্রু দারুণ কাজে লেগেছে। শ্রীলঙ্কার দুই উইকেট নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাশরাফিরা।২১ ওভারে ১১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছে তারা।
প্রথম দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে টস হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং, আর দ্বিতীয় ম্যাচে ফিল্ডিং করেছিল তারা। তৃতীয় ম্যাচে এসে টস জিতলেন মাশরাফি মর্তুজা। আগের দুই দিন বৃষ্টি হওয়ায় এবং উইকেটে ঘাস দেখে সুইংয়ে সহায়তা পাওয়ার প্রত্যাশায় ফিল্ডিং নেন তিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে অস্বস্তি করে তোলেন। শেষ পর্যন্ত ১১তম ওভারে স্বাগতিক এ জুটি ভাঙেন মিরাজ। এর পর তাসকিন আহমেদ শিকার করেন দ্বিতীয় লঙ্কান উইকেট।
ক্রিজে নেমে ঝড় তুলেছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও দানুশকা গুনাতিলাকা। বিশেষ করে মুস্তাফিজুর রহমানের ওভারে বেশ মেরে খেলেছেন তারা দুজন। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার তার তিন ওভারের প্রথম স্পেলে ৫টি বাউন্ডারি দেন, তার কয়েকটি ওভারে লঙ্কানরা রান পেয়েছে ২৫।
এর আগে মাশরাফি শুরু করেন বাংলাদেশের বোলিং। প্রথম দুই বলেই ওয়াইড দেন অধিনায়ক, এ ওভারে একটি বাউন্ডারিও পায় শ্রীলঙ্কা। আর এমন মারকুটে ব্যাটিং ভালোভাবে ধরে রেখেছে লঙ্কানরা। অবশ্য নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফি জীবন দেন গুনাতিলাকাকে। তার ফুল ডেলিভারিতে লঙ্কান ওপেনার সোজা শট নেন, শক্তিশালী গতিতে ছুটে আসা বলটি বাঁ হাতে কব্জা করতে পারেননি অধিনায়ক।
এ গতি চলতে থাকে বেশ কয়েক ওভার, প্রথম ১০ ওভারে ৭৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। এর পর ভাঙে শক্ত এ জুটি। মিরাজের বলে গুনাতিলাকা ৩৪ রানে মাহমুদউল্লাহর সহজ ক্যাচ হন। প্রথম ২ ওভারে ১২ রান দেওয়া তাসকিন নিজেকে ফিরে পান তৃতীয় ওভারে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক থারাঙ্গাকে ৩৫ রানে বোল্ড করেন তিনি।
সিরিজে সমতা রেখে শেষ করার লক্ষ্যে ব্যাটিং করছে শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ৯০ রানে জিতেছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে হয় শুধু একটি ইনিংস। আগে ব্যাট করে ৩১১ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট হাতে নামতেই পারেনি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ শেষে তারা ১-০ তে এগিয়ে।