সিরাজগঞ্জ থেকে : নিজের ঘরে স্বামী থাকা স্বত্বেও পাশের গ্রামের পরকীয়া প্রেমিকের কাছে স্বর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। আর সেই পরকীয়া সম্পর্কের ইতি ঘটেছে আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে। আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মুক্তি রানী (২৫) নামে এক আদিবাসী গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত মুক্তি রানী তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের গুল্টা গ্রামের অতুল খার স্ত্রী ও বস্তুল কারিতাস স্কুলের শিক্ষিকা। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ নিহতের নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে
পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ স্কুল শিক্ষিকার হাতে লেখা চিঠি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মুক্তি রানীর বর্তমান স্বামী অতুল তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক পাশের গ্রামের হামিদ নামের একজনকে দায়ী করে জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর সাথে হামিদের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। সেই সুযোগে হামিদ তার স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির কারণেই তার স্ত্রী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। ।
স্কুল শিক্ষিকা মুক্তির মামা শ্রী চন্দন এক্কা জানান, গুলটা গ্রামের ক্যাবল ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদের সাথে মুক্তি রাণীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। এক পর্যায়ে হামিদ মোবাইল ফোনে মুক্তির আপত্তিকর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। লোক লজ্জার ভয়ে সোমবার দুপুরে সে আত্মহত্যা করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ উদ্দিন জানান, শত মানুষের সম্মুখে মুক্তির স্বামী অতুল তাড়াশ থানা পুলিশকে তার স্ত্রীর লেখা শেষ চিঠি এবং মোবাইল ফোনটি দিয়ে বলেন, হামিদের কারণে আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর রহমান জানান, স্কুল শিক্ষিকার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।