স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের অনেক বোলারই হ্যাটট্রিক করেছেন। এ নিয়ে দুইবার হ্যাটট্রিক করলেন তাসকিন। তবে হ্যাটট্রিক করা যেন অভিশাপ। এটি কেনো, হ্যাটট্রিক করলেই কি দল থেকে ছিটকে যেতে হয়?
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। পরে আরও এক পেসার হ্যাটট্রিক করেছেন-রুবেল হোসেন। অন্তত এই দুই পেসারের কথা ভেবে তাসকিন আহমেদ ভয় পেতে পারেন।
দেশের হ্যাটট্রিক করা দু জন ফাস্ট বোলার, দুই জনকেই কারাগারে যেতে হয়েছে! না, অবশ্যই হ্যাটট্রিক করার কারণে তারা কারাগারে যাননি। গেছেন আলাদা আলাদা মামলায়। তবে এই কাকতাল ভয় না ধরিয়ে পারে?
হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশে কেউ অন্তত সুখে নেই। কেন এমন হয়। রাজীব-রুবেল জেল ঘুরে এসে আপাতত সেই
মামলা থেকে অব্যহরি পেয়েছেন। তবে দু জনের কেউ এখন দলে নিয়মিত নন। রাজীব তো জাতীয় দলের শত হাতের ভেতর নেই। আর রুবেল স্কোয়াডে থাকলেও ম্যাচ খেলাটা প্রায়শ হয়ে উঠছে না।
বাংলাদেশের হয়ে হ্যাটট্রিক করা বাকী দু জনের অবস্থাও সুবিধের না।
আব্দুর রাজ্জাক ক্যারিয়ারের সোনালী সময় পার করে এসেছেন বলে অনেকেই মনে করেন। আবার অনেকেরই ধারণা, রাজ্জাক আরও অনেক দিন জাতীয় দলকে সার্ভিস দিতে পারতেন। ঘটনা যাই হোক, এটা সত্যি যে, ২০১০ সালে ওই হ্যাটট্রিক করার পর আর জাতীয় দলে বছর তিনেকের বেশী টেকসই হননি। এখন তো জাতীয় দলে ডাকই পাচ্ছেন না।
তাইজুলের ব্যাপারটা বিষ্ময়কর।
ওয়ানডে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছেন। কিন্তু গায়ে লেগে গেছে টেস্ট বোলারের তকমা। ফলে কিছুতেই ওয়ানডে দলের একজন হয়ে উঠতে পারছেন না।
বাংলাদেশের কথাই বা বলি কেনো কেবল?
দুনিয়ার প্রথম হ্যাটট্রিক করা জালাল উদ্দিনের কথা মনে আছে? ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। আর জীবনেও কোনো ম্যাচে ৩টে উইকেটও পাননি। ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেছে এরপর আর ৬টি মাত্র ম্যাচ খেলে!
হ্যা, হ্যাটট্রিক করার তালিকায় ওয়াসিম আকরাম, সাকলায়েন মুশতাক, কপিল দেবরাও আছেন। চাইলে তাসকিন তাদের কথা স্মরণ করতে পারেন। এমনকি লাসিথ মালিঙ্গা, ওয়াকার ইউনুস বা চামিন্দা ভাস হলেই বা ক্ষতি কী!
তাই বলে ড্যানি মরিসন, অ্যান্থনি স্টুয়ার্ট হওয়াটা একদম ঠিক হবে না। হ্যাটট্রিক ছাড়া জীবনে তাহলে আর বলার মতো কিছু থাকবে না