স্পোর্টস ডেস্ক ম্যাচের আগেই নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল আর্জেন্টিনা দল। কার্ড ও ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকতে হয়েছিল নিয়মিত একাদশের ছয় জনকে। তাছাড়া কোচ একাদশ করেছিলেন আগুয়েরোকে বাদ দিয়েই। আর উচ্চতার সমস্যাও যোগ হয়েছিল সাথে।
তবে শেষ মুহূর্তের ধাক্কাটাই আর্জেন্টিনা দলকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেকটা। রেফারির সাথে বাজে ভাষা ব্যবহারের কারণে দলের মূল অস্ত্র লিওনেল মেসিকে ৪ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। ফলে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই খেলতে নামতে হয় আর্জেন্টিনাকে।
ঘরের মাঠে অপেক্ষাকৃত মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা দলকে পেয়ে শুরু থেকেই ভালো ফুটবল খেলতে থাকে বলিভিয়া। খেলার ১৫তম মিনিটে এসে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল তারা। হুয়ান কার্লোস আর্সের শট অসাধারণ নিপুণতার সাথে ঠেকিয়ে দেন ডিফেন্ডার মুসাচিও।
তার দু’মিনিট পরেই রাউল কাস্ত্রোর দূরপাল্লার শট জালে যাওয়া থেকে আটকান রোমেরো। তবে গোল করা থেকে বিরত রাখা যায়নি বলিভিয়াকে। খেলার ৩১তম মিনিটে ঠিকই গোলের দেখা চায় তারা। পাবলো এসকোবারের করা ফ্রিকে মাথা ছুইয়ে দলকে এগিয়ে দেয় হুয়ান কার্লোস আর্সে।
১-০তে পিছিয়ে থেকেও আক্রমণের ধার বাড়েনি আর্জেন্টিনার। বরং খেলার ৩৬ মিনিটের সময় ইনজুরিতে পরে রামিরো ফানেস মরি মাঠের বাইরে গেয়ে শক্তিতে আরো দুর্বল হয়ে পড়ে তারা। ফলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারহীন আর্জেন্টিনার দেখাই মেলে। গোল করা দূরে থাক খেলার ৫২তম মিনিটে উল্টো গোল খেতে হয় তাদের। এনরিক ফ্লোরেসের বাড়ানো ক্রস থেকে ডান পায়ের নিচু শটে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন বলিভিয়ার মার্সেলো মোনেরো।
বাকি সময়ে দু’দলই গোলের সুযোগ পেয়েছিল তবে কোনো দলই সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় ২-০ ব্যবধানে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনার। এই হারে রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে তাদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৪ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট।