স্পোর্টস ডেস্ক:শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রন জানায় নেপালের অধিনায়ক জ্ঞানেন্দ্র মল্ল। তবে শুরুটা সন্তোষজনক ছিল না মমিনুল-নাসিরদের। টপ অর্ডারে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। গত ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো সাইফ হাসান আজ ব্যর্থ হলেন বড় স্কোর গড়তে।
অন্যপ্রান্তে থাকা আজমির শুন্য রানে দ্রুত বিদায় নিলে একই পথে হাটেন সাইফ। নেপালের অভিনাশ কার্ণের বলে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তিন নম্বরে নামা মোহাম্মাদ মিথুনের ইনিংস। অভিনাশ কার্ণের তৃতীয় শিকার ছিলেন তিনি। আরেক প্রান্ত একা লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক মমিনুল।
শান্তর সাথে জুটি গড়ে দলকে কিছুটা বিপদ মুক্ত করার চেষ্টা করলেও শান্ত ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর নাসির হোসাইনের সাথে জুটি গড়েন মমিনুল হক। নাসিরের সাথে ৭১ রানে জুটি গড়ে দলের স্কোর শত পার করেন মমিনুল হক, একই সাথে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশত। তবে ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন তিনি।
২৬তম ওভারে সন্দ্বীপ লামিচানের লেগস্পিনে পরাস্ত হয়ে ফিরে যান মমিনুল, আউট হওয়ার আগে ৭৮ বলে ৬১ রান যোগ করেন তিনি। মমিনুলের বিদায়ে তরুণ আফিফকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন নাসির হোসাইন। একই সাথে জুতে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। কিন্তু ৩২তম ওভারে আবারো আঘাত হানে লামিচানে।
১৪ রান আফিফকে সাজঘরে পাঠান তিনি। টিকতে পারে নি সাইফুদ্দিন ও রাহাতুল। সাইফ ১৩ রান যোগ করে রান আউট হন। নিয়মিত উইকেটের পতন ঘটতে থাকলেও নাসির আরেক প্রান্তে ছিলেন অবিচল।
আবুল হাসানের সাথে নবম উইকেট জুটিতে অর্ধশত রানের জুটি গড়ে দলের স্কোর দুইশ ছাড়ান নাসির, এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। আবুল হাসান ৩০ বলে ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে আউট হলেও নাসির হোসাইনের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের স্কোর দাঁড়ায় নয় উইকেটে ২৫৭ রান।
দলের বিপর্যয়ে নাসির ১১৫ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ১২টি চার ও ২টি ছয়ের মার ছিল নাসিরের ইনিংসে। নেপালের হয়ে অভিনাশ কার্ণ তিনটি ও সন্দ্বীপ লামিচানে দুটি উইকেট শিকার করেন।