নিউজ ডেস্ক:নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাবার চেষ্টা করেছিলেন এমন প্রায় ৭০ জন বাংলাদেশি গত ৪ বছর ধরে পাপুয়া নিউগিনির একটি দ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের বন্দি শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু এখন তাদের অনেকেই আতঙ্কে আছেন। যেকোন সময় তাদের দেশে পাঠানো হবে এই আশঙ্কায়।
মানাস নামের একটি দূর্গম দ্বীপে বন্দি শিবিরে রাখা হয়েছে তাদের। এর মধ্যে প্রায় ৫০ জন দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অন্য কোন দেশে অভিবাসী হিসেবে যাবার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু যাদের আবেদন প্রত্যাখান হয়েছে তারা এখনও বন্দি শিবিরেই আছেন।
ঐ দ্বীপে আটকে থাকা বগুড়া জেলার রাসেল মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমি এই দ্বীপে ৪ বছর ধরে আটকে আছি। এই ২০১৩ সালে প্রথমে আমরা নৌকায় করে বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া আসি। তারপর ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি ধরে ইন্দোনেশিয়ার মহাসাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে আসি। তারপর ওখানে কিছুদিন রাখার পরে আমাদের বলা হয় যে, আপনাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়েছে। আপনাদের ভিসায় অন্যদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার জন্য আপনাদের দালালদের কতটাকা করে দিতে হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোট আমাদের ১২ লাখ টাকা করে দিতে হয়েছে।
এখন ওখানে আপনার কিভাবে আছেন? জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখানে অনেক টেনশনে আছি। আমাদের এখানে খাওয়া ঠিকমত নাই অনেকে ভাবতাছে দেশে গিয়ে কি করবো ইত্যাদি নানা চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে। এমতাবস্থায় অনেকে আত্মহত্যার চেষ্টাও করছে। এর মধ্যে যারা বাংলাদেশে যেতে চাচ্ছেন তারাও যেতে পারছেন না।
দালালরা বলছে অস্ট্রেলিয়ার সিস্টেম পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বাইরের লোক প্রবেশ নিষেধ। আপনাদের থাইল্যান কিংবা নাড়–তে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সরকাররে সাথে কি আপনাদের যোগাযোগ হয়েছে? জবাবে তিনি বলেন, আমি অনেক যায়গায় চেষ্টা করছি কিন্তু ভাল কোন ফল পাইনি। তারপরেও আমি একটা প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। দেখা যাক ওটায় কি হয় তার অপেক্ষায় আছি।সূত্র: বিবিসি বাংলা
Check Also
বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির
সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …