যেসব ব্যবসায়ীদের থেকে নেয়া হয়েছে ১২শ কোটি

নিউজ ডেস্ক:

ওয়ান-ইলেভেনের পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থ ফেরত দিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি আপিল আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (১৫ মার্চ) প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রায়ের এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন এম আমীর-উল ইসলাম।

ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সরিয়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ১১ জানুয়ারিতে জরুরী সরকার গঠিত হয় বলেই সেটি ওয়ান-ইলেভেন হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় জরুরি অবস্থা জারি করে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দেশের অনেক শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের।

২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১২০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আদায় করা হয়। ২০১০ সালে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, তত্ত্বাবধায়ক আমলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা, যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বসুন্ধরা গ্রুপের কাছ থেকে কয়েক দফায় ২৫৩ কোটি টাকা, জেমস ফিনলের কাছ থেকে ২৩৭ কোটি ৬৫ লাখ, ইস্টওয়েস্ট প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্টের কাছ থেকে তিন কোটি, যমুনা গ্রুপের কাছ থেকে ৩০ কোটি, এমজিএইচ গ্রুপের ২৪ কোটি, বিএনপির সাবেক সাংসদ সালিমুল হক কামালের ২০ কোটি, কবির স্টিলের সাত কোটি টাকা, ব্যবসায়ী নূর আলীর ৪০ কোটি টাকা, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের ৩২ কোটি ৫০ লাখ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৩৯ কোটি, সাগুফতা হাউজিংয়ে আড়াই কোটি, হোসাফ গ্রুপের ১৫ কোটি, পারটেক্স গ্রুপের ১৫ কোটি, স্বদেশ প্রোপার্টিজের ৯ কোটি, ইসলাম গ্রুপের ৩৫ কোটি, কনকর্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আট কোটি, ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের ১৭ কোটি, আবু সুফিয়ানের ১৪ কোটি, শওকত আলী চৌধুরীর ছয় কোটি, আশিয়ান সিটির এক কোটি, পিংক সিটির ছয় কোটি ৪১ লাখ, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৯ কোটি ৪৫ লাখ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ১৫ কোটি, ওয়াকিল আহমেদের ১৬ কোটি, এবি ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ৩২ কোটি, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, এলিট পেইন্টের ২৫ কোটি ৪৪ লাখ, এবি ব্যাংকের ১৯০ কোটি এবং কনকর্ড রিয়েল এস্টেটের সাত কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান পারভীন সিকদার তিন কোটি, ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু দুই কোটি ২০ লাখ ও নাম উল্লেখ না করা এক ব্যক্তি ওই হিসাবে চার কোটি টাকা জমা দিয়েছেন।সূত্রঃ বিডি লাইভ

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …