বেঁচে যাওয়া ব্যবসায়ী হাফিজের বর্ণনায় নরসিংদীর সড়ক দুর্ঘটনা

সিলেট ব্যুরো: নরসিংদীর মাধবদীর কান্দাইলে সোমবার ভোরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে নিহত হন বিয়ানীবাজার পৌরশহরের ব্যবসায়ী খায়রুল বাশার খান (৩৪), রেজাউল করিম (৩২), জুবের আহমদ (৩২), বুরহান উদ্দিন ইকবাল (৩১), বাবুল হোসেন (৩০) ও গাড়ি চালক বাবুল আহমদ (৩১)।
এতে আহত হন মাইক্রোবাসের অপর যাত্রী ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন। বাসের সাথে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বেঁচে যাওয়া ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন এভাবে, ‘গত কয়েকদিন পূর্বে আমরা কয়েকজন ব্যবসায়ী পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেই কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় নেয়া অসহায় রোহিঙ্গাদের দেখতে যাবো। রাজিও হন অনেকে। সে মোতাবেক আমরা জামান প্লাজার কয়েকজন ব্যবসায়ী ৩ দিন আগে বিয়ানীবাজার থেকে একটি গাড়ি রিজার্ভ করে কক্সবাজারের উখিয়ায় গিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় লক্ষাধিক টাকার কম্বল বিতরণ করি। একসাথে আমরা আট জন। মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে যেতে যেতে আমরা দারুণ উপভোগ করেছি সময়টা।

রবিবার রাত ১১টার দিকে আমরা কক্সবাজার থেকে রওয়ানা হই। এসময় আমাদের সফর সঙ্গী ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন সেখানে থেকে যাওয়ায় বাবুল হোসেন নামের আমাদের এক ছোট ভাই আমাদের সাথে আসে।
যদিও সে গিয়েছিলো রোটারেক্ট ক্লাবের অনুষ্ঠানে আরো তিন জনের সাথে। কিন্তু আসার সময় সে আমাদের সাথে আসে। নরসিংদীতে আসার পূর্বে রাত ৪ টার দিকে আমরা গাড়ি থামিয়ে সকলে চা পান করি।

আমি ছিলাম ড্রাইভারের ঠিক পাশের সিটে আর দেলোয়ার ছিলো আমার ঠিক পিছনের সিটে। এভাবে আমরা আসছিলাম। রাত পেরিয়ে যখন ভোর তখন আমাদের মাইক্রো মাধবদীর কান্দাইলে বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করছে। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে দেখলাম একটি বাস আসলো। মুহূর্তেই আমার চোখের সামনেই মারা গেলো জুবের,
ইকবাল, খয়ের ভাই ও ড্রাইভার বাবুল। আমি আর দেলোয়ার বেঁচে গেলাম সবার দোয়ায়। আর হাসপাতালে নেয়ার পর করিম ও বাবুল মারা যায়। ‘

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …