আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের প্রয়োজনে সংবিধানকে অপরিবর্তন যোগ্য বাইবেল বানিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ সংবিধানের তিনটি অনুচ্ছেদকে এখন বাইবেলের মতো মানছে। এমন অবস্থা যে সংবিধান কখনো পরিবর্তন হয় না। ‘সংবিধানে কোন সহায়ক সরকারের নিয়ম নেই’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের কোথাও এমন নিয়ম নেই যে জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না। আওয়ামী লীগ শুধু নিজেদের প্রয়োজনে সংবিধান ব্যবহার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংবিধানেতো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়মও ছিলো না। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিলো।
বাংলাদেশকে আমেরিকা জঙ্গি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করায় অনেক শ্রমিক ভিসা জটিলতায় ভুগছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি জঙ্গি নিরসনে জাতীয় ঐক্যের আহবান করেছিলো। কিন্তু সেই বিএনপিকেই জঙ্গি বলে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তারেক রহমান দেশের গণতন্ত্রকামী জনতার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন বলেই ১/১১ সময় তার উপরই প্রথম আঘাত হানা হয় মন্তব্য করে ফখরুল দাবি করেন, ১৯৭৫ সালের পূর্বে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম, জিয়াউর রহমানকে হত্যা, ১/১১ ও তারেক রহমানকে কারাগারে প্রেরণ একই সূত্রে গাঁথা।
শেখ হাসিনা দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে মন্তব্য করে আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘এ দেশে শুধু উনিই (শেখ হাসিনা) থাকবেন, আর কেউ থাকবে না।’
শেখ হাসিনা সম্রাজ্ঞীর মতো দেশ চালাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিজের পদ বাচানোর জন্য শেখ হাসিনা যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন। প্রয়োজনে দেশকে বিক্রিও করতে পারেন।