২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে বির্তকিত ও যুদ্ধাপরাধী কোনো ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নিতে পারবেন না। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সামনে রেখে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে জাতীয় পতাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতেও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে এ আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোনো স্বাধীনতাবিরোধী ও বির্তকিত মানুষ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হতে পারবে না বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ছাড়া জাতীয় পতাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং পতাকার অপব্যবহার রোধেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় পতাকার যথাযথ মাপ, রং, উত্তোলন ও নামানোর সময় নির্ধারণ করে জাতিকে জানিয়ে দেবে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনত দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ও সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনীর নবম ডিভিশন। ঢাকা থেকে সাভারের সড়কে কোনো তোরণ নির্মাণ করা যাবে না।
বিদেশি কূটনীতিক ও নাগরিকদের বিশেষ নিরাপত্তা স্কোয়াডের মাধ্যমে স্মৃতিসৌধে নিয়ে যাওয়া হবে ও অনুষ্ঠান শেষে পৌঁছে দেওয়া হবে। নৌপথে থাকবে নৌ-পুলিশের বিশেষ টহল। জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে জেলা পুলিশ ও বিভাগীয় কমিশনারদের তত্ত্বাবধানে বিশেষ ব্যবস্থা জারি থাকবে।
এ সময় তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে পর্যটকের ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে ২৬ মার্চ ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।