স্টেডিয়াম নয় , এ যেন যুদ্ধের ময়দান

স্পোর্টস ডেস্ক:

গত তিন দিন ধরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গাদ্দিফি স্টেডিয়ামের চারপাশ।  শুধুমাত্র নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য ছাড়া স্টেডিয়ামের ধারেকাছে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না।
পাকিস্তানের এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকছে দু’দলের ক্রিকেটারদের জন্য।  বুলেটপ্রুফ বাসে করে হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে যাতায়াত করবেন ক্রিকেটাররা।  তাদের যাতায়াতের রাস্তায়ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহারায় থাকবে কমান্ডো বাহিনী রেঞ্জার্স।  পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রেঞ্জার্স এরই মধ্যে স্টেডিয়ামের চারপাশে বাংকার বানিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।  শুধু তাই নয়, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুদ্ধক্ষেত্রের মতো গাদ্দাফি স্টেডিয়াম লাগোয়া হকি স্টেডিয়ামে ২৫ শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতালও স্থাপন করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কোয়েটা গ্গ্ন্যাডিয়েটরসের হয়ে পিএসএল ফাইনাল খেলতে গতকাল দুপুর ১টায় পাকিস্তানের পথে রওনা হয়ে গেছেন এনামুল হক বিজয়।  বিকেলের মধ্যেই তার লাহোর পেঁৗছে যাওয়ার কথা।  বিজয়ের সঙ্গে আরও ১৩ বিদেশি ক্রিকেটার লাহোরে পিএসএল ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন।  তাদের প্রায় সবাই জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের।  তাই অনেকটা নতুন দল নিয়েই আজ সন্ধ্যায় লাহোরে মুখোমুখি হবে কোয়েটা ও পেশোয়ার।

পিএসএল সব খেলাই হয়েছে দুবাই ও শারজায়।  এর মধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পেশোয়ারকে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে পেঁৗছে যায় কোয়েটা।  তবে ফাইনালে আসতে যে বিদেশিদের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল তাদেরই ফাইনালে পাচ্ছে না দলটি।  কোয়েটার তারকা বিদেশি কেভিন পিটারসেন, লুক রাইট, তায়মাল মিলস, রিলে রুশো, নাথান ম্যাককুলাম এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে তারা পাকিস্তান যাচ্ছেন না।  তাদের আরেক বিদেশি বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জাতীয় দলের হয়ে শ্রীলংকা সফরে চলে গেছেন আরও আগেই।  তাই পুরোপুরি নতুন চার বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে ফাইনালে নামতে হবে কোয়েটার।  বাংলাদেশের এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে কোয়েটার হয়ে খেলতে সম্মত হয়েছেন ইংল্যান্ডের জ্যাড ড্যারেনবাচ, দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি, জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিসমার সানতোকি।

তবে এ সমস্যায় খুব একটা ভুগতে হচ্ছে না পরশু রাতে করাচিকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা পেশোয়ার জালমিকে।  তাদের তিন নিয়মিত বিদেশি ড্যারেন স্যামি, মারলন স্যামুয়েলস ও ক্রিস জর্ডান ফাইনাল খেলতে লাহোর যেতে রাজি হয়েছেন।  তবে দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদিকে পাচ্ছে না তারা।  পরশু রাতে করাচির বিপক্ষে ম্যাচে পোলার্ডের ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুল ফেটে যায় আফ্রিদির।  রক্তাক্ত হাত নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।  ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে, সুস্থ হতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লাগবে।  তাই ফাইনাল খেলা হচ্ছে না তার।  স্বভাবতই হতাশায় পুড়ছেন আফ্রিদি, ‘নিজেদের দর্শকের সামনে ফাইনালটা খেলতে চেয়েছিলাম।  কিন্তু কিছু বিষয় থাকে যা আমাদের কারও হাতে থাকে না। ‘ তবে তার বিশ্বাস তিনি না থাকলেও পেশোয়ারই এবার পিএসএল জিতবে।

Check Also

বাংলাদেশের ম্যাচসহ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের পূর্ণাঙ্গ সূচি

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জটিল ধরণের এক ফরম্যাট উপহার দিলো …