জীবন সায়াহ্নে পরিবারে ফিরতে চান ষাটোর্ধ ৯’শ কয়েদি

ডেস্ক রিপোর্ট :

অপরাধের দায়ে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন এমন অনেক বন্দিই জীবন সায়াহ্নে এসে ফিরতে চান পরিবার-পরিজনের কাছে। জীবনের শেষ সময়টুকু পরিবার পরিজনের সঙ্গে কাটাতে সাজা মওকুফের মানবিক আবেদন করেছে ষাটোর্ধ বয়সের নয় শতাধিক কয়েদি।

দেশের ৬৮টি কারাগারে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে থাকা বন্দিদের আবেদন জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মুক্তির ব্যবস্থা নিতে কয়েকজন বন্দি চিঠিও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির দপ্তরে। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনি দিক থেকে তাদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনাধীন।

সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, নতুন করে অপরাধ করার ক্ষমতা যাদের নেই তাদের ছেড়ে দেয়া উচিৎ। অর্থাৎ, মানবিকতার স্বার্থে নতুন জীবনে ফিরে যেতে তাদের এ সুযোগ দেয়া যেতেই পারে। একই মত মানবাধিকার কমিশনেরও।

এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলে এটা গ্রহণ করতে পারে এবং জেল অথরিটিকে এমন নির্দেশনা দিলে তারা বেরিয়ে আসতে পারে। আমার মনে হয় এটা ভালো উদ্যোগ হবে।’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘ষাট-সত্তর বছর বয়সে যে ব্যক্তি মৃত্যুর জন্য দিন গুনছে। জেলখানাতে বসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছে সে কাকে ভয়ভীতি দেখাবে। তাকে তো রাখার কোন যুক্তি নাই।’

কাজী রিয়াজুল হক জানান, ‘শুধু ষাটোর্ধ বয়সের বন্দি নয়, বিনাবিচারে কারাগারে আটক বয়োবৃদ্ধদেরও জামিনের ব্যবস্থা করতে কাজ চলছে। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সঙ্গে আমরা একটি সমঝোতা করবো। তারা এবং আমরা যতদূর সম্ভব কেসগুলোকে আদালতের সামনে উপস্থাপন করবো।’

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘অপরাধের ধরণ, তার বয়স সবকিছু বিবেচনা করে যদি মনে হয় যে, সে সমাজের জন্য বিপজ্জনক না তাহলে সরকার তাকে ছেড়ে দিতে পারে। প্রায় নয়শো বন্দী আছেন যাদের দরখাস্ত এই মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন আছে।’ তবে মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে কয়েদির শারীরিক সক্ষমতা এবং মামলার দিকটি বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি। -তথ্যসূত্র : সময় টিভি

Check Also

বাজির শব্দে তছনছ হয়ে যায় রেমিনের জীবন

সংবাদবিডি ডেস্ক : ‘আমার মেয়েটা ছিল দারুণ মেধাবী। ক্লাস ফাইভ আর এইটে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। …