রাজধানীর গাবতলীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সব মিলে মোট ৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মামলার বাদী পুলিশ আর একটির বাদী এক নারী। মামলার ঘটনায় সর্বমোট ১৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দারুস সালাম থানায়।
দারুস সালাম থানা সূত্র বলছে, থানায় ১৩০০ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে আরো দুটি মামলা করা হয়। আর এ নিয়ে ঘটনায় মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৫টি। নতুন দুই মামলার একটি সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় থানার এসআই মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে করেছেন। মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও চারশ থেকে পাঁচশ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর সংঘর্ষের মধ্যে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় হত্যার অভিযোগে দ্বিতীয় মামলা করেছেন এসআই এলিট মাহমুদ। এ মামলায় কারও নাম উল্লেখ না করে আসামি অজ্ঞাত পরিচয় সাতশ থেকে আটশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আগের তিন মামলার দুটি দারুস সালাম থানার এসআই মো. জুবায়ের ও এসআই বিশ্বজিৎ পাল বাদী হয়ে দায়ের করেন। অন্য মামলাটি করেন ফেরদৌসী (৩০) নামের মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা এক নারী।
প্রথম তিন মামলায় আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন নেতাসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১২০০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশের করা এক মামলায় সরকারি কাজে বাধা, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
অন্যদিকে ফেরদৌসীর করা তৃতীয় মামলায় মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন এসআই নওশের। দুই চালকের সাজার রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট শুরুর পর মঙ্গলবার রাতে পরিবহন শ্রমিকরা ঢাকার গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।