নতুন প্রত্যাশা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে নতুন বছরের। বাংলাদেশের সামনে অন্তত ১৫টি খাতকে দ্রুত উন্নতির ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেসব খাতের অগ্রযাত্রা এবং ভবিষ্যতে সম্ভাবনার দুয়ারগুলো নিয়ে নববর্ষে বৈশাখীর মাসব্যাপী ধারাবাহিক আয়োজনের আজ দেখুন স্বাস্থ্য খাত নিয়ে দুটি প্রতিবেদনের দ্বিতীয়টি।
সুযোগ ও সামর্থ থাকলে দেশের অনেকে বিদেশে যান চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা পেতে। অতীতে এই হার ছিল অনেক, যা বিগত দশ বছরে কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে যে ১৬টি সূচক দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা খাত বিশ্লেষণ করা হয়, দেশে তার ৫৪ শতাংশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে বাস্তবের চিত্র পরিসংখ্যানের চেয়েও ভাল বলে দাবি খাত বিশেষজ্ঞদের।
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ক্রমবর্ধমান উন্নতি অব্যাহত থাকলে এবং ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জিত হলে বাস্তবতা উল্টে নিকটবর্তী দেশের রোগীরা বরং চিকিৎসার জন্য আসতে পারে বাংলাদেশে বলেও জানান বিজ্ঞেরা।
স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি জরুরী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে জাতীয় বাজেটের ১৫ ভাগ ও জিডিপির ২ থেকে ৩ ভাগ বরাদ্দ দরকার, কিন্তু দেয়া হয় মাত্র পাঁচ ভাগ। এই বরাদ্দ দিয়েও অনেক উন্নয়ন সম্ভব মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, যদি খাত সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো যায়।
নগর কেন্দ্রীক ভাল চিকিৎসার কারণে রোগীর ভীড় শহরে। এছাড়া রোগীদের প্রতি বহু চিকিৎসকের রুঢ় আচরণ ও আন্তরিকতার অভাব বরাবরই এই খাতের বড় সমালোচনার জায়গা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, একটি এক্রিডিটিশন কাউন্সিল গঠন ও রেফারেন্স সিস্টেম চালু হলে, এমন অনাকাক্সিক্ষত বাস্তবতাকে পাল্টাবে।