ফরিদপুরের সালথায় ১টি স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্কঃ ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রঙ্গ রায়েরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছ।শুধু শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করেই নয় নিয়ম বর্হিভুতভাবে চাকুরীতে যোগদানের অভিযোগও রয়েছে অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য মতে অত্র বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে খাদিজা খানম নামের এক ব্যাক্তি চাকুরী করছেন। অথচ এই ব্যাক্তির আসল নাম রেবা পারভিন। এই রেবা পারভিন তার চাচাতো ভাই বৌয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন। এছাড়া শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য মতে এই শিক্ষিকা খাদিজা খানমের স্বামীর নাম সৈয়দ নাজমুল হোসেন দেওয়া হয়েছে অথচ এই শিক্ষিকার ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম দেওয়া আছে আমীর খসরু। ভোটার আইডি কার্ড এবং শিক্ষা সনদ খাদিজা খানমের হলেও বিদ্যালয়ে প্রকৃত পক্ষে রেবা পারভীন চাকুরী করছেন।

অত্র বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন নিশি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য মতে অত্র বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এই শিক্ষিকার শিক্ষা সনদেও কিছু গরমিল পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ে সাবিনা ইয়াসমিন নিশি নামের যে শিক্ষিকা চাকুরী করছেন প্রকৃত পক্ষে এই শিক্ষকার আসল নাম রিনা আক্তার। এই রিনা আক্তার এবং ছাবিনা ইয়াসমিন নিশি আপন দুই বোন।অর্থাৎ রিনা আক্তার ছোট বোন সাবিনা আক্তার নিশির সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকুরী করছেন।

অত্র বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষিক সৈয়দ নাজমুল হোসেন ।বর্তমানে তিনি বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই নাজমুল হোসেন তিনি বিএড সনদ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের জমা দিয়ে চাকুরী করছেন। অথচ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সনদ সরকার বাতিল করে। এর পরেও ঐ সনদের বলে সৈয়দ নাজমুল হোসেন বিদ্যালয়ে চাকুরী করছেন এবং বেতন নিচ্ছেন

বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক সৈয়দ মাহমুদুল হাসান । তিনি ২০০৮ সালে এইচ এসসি পাশ করেন এবং ২০০৮ সালেই চাকুরী যোগদান করেন।তাহলে এইচ এসসি পাশ করে তিনি কিভাবে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরীতে যোগদান করলেন।তাছাড়া বিদ্যালয়ে চাকুরীরত অবস্থায় কতৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত নিয়োমিতভাবে অনার্স ও মাস্টর্স সম্পূর্ন করেন যা সরকারী নিয়ম বর্হিভূত।

একটি সরকারী বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।স্থানীয়রা বলছেন যেখানে স্কুলের সকল শিক্ষক এমন দূর্নীতির সাথে জড়িত তাহলে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কি শিক্ষা প্রদান করবেন।

তবে এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো:তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রঙ্গরায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে ।তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সত্যতা প্রমানিত হলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে রঙ্গরায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে খাদিজা খানম এবং সাবিনা ইয়াসমিন নিশিকে পাওয়া যায় নি।আর ঘটনার সত্যতার ব্যাপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সকলের সার্টিফিকেট সঠিক আছে এবং এবিষয়ে আগেও একাধিকবার যাচাই করা হয়েছে এবং সকলে শিক্ষা সনদ সঠিক আছে।

যারা শিক্ষা সনদের বিষয়ে অভিযোগ আনছেন তারা স্কুলের এবং শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্য প্রচারনা চালাচ্ছেন।

Check Also

বিদেশে নয় দেশের মাটিতেই বিয়ের পরিকল্পনা রকুল-জ্যাকির

সংবাদবিডি ডেস্ক ঃ রকুল প্রীত সিং ও জ্যাকি ভাগনানির বিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের প্রস্তুতি এখন …